জেলার তাহিরপুর সীমান্তের
যাদুকাটা নদীর
তীর কেটে
অবৈধভাবে বালি
ও পাথর
উত্তোলন করাকে
কেন্দ্র করে
দু’পক্ষের
মধ্যে সংঘর্ষে
হয়েছে। এতে
সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুর ১২টার
দিকে এ
সংঘর্ষের ঘটনা
ঘটে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর
অবস্থায় ইউনিয়ন
চেয়ারম্যানের ভাই সোহাগ মিয়াসহ তিনজনকে
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সাংবাদিক
কামাল হোসেনসহ
পাঁচজনকে উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের সময়
দৈনিক সংবাদের
তাহিরপুর উপজেলা
প্রতিনিধি কামাল হোসেনের ওপর হামলা
চালিয়ে ক্যামেরা
ও মোবাইল
ছিনিয়ে নিয়েছে
সংঘর্ষকারীরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা
জানায়, প্রতিদিনের
মতো সোমবার
দুপুরে উপজেলার
বাদাঘাট ইউনিয়নের
গাগটিয়া গ্রামের
বালু খেকো
মনির উদ্দিন
মেম্বারের ছেলে সুরহান মিয়া, দিলকুশ
মিয়ার ছেলে
রহিছ মিয়া,
কুদ্দু ছোবাহানের
ছেলে নাসির
উদ্দিন ও
তাজ উদ্দিনের
নেতৃত্বে যাদুকাটা
নদীর গুচ্ছ
গ্রামের সরকারি
পুকুর পার
কেটে বালি
ও পাথর
উত্তোলন করে
শতাধিক নৌকা
বোঝাই করা
হচ্ছিল। এ
সময় বাদাঘাট
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান
নিজাম উদ্দিনের
ভাই সোহাগ
মিয়া, রিপন
মিয়া ও
সেলিম মিয়া
তাদের লোকজন
নিয়ে নদীর
তীরের মালিক
দাবি করে
বাঁধা দিলে
দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে দৈনিক
সংবাদের সাংবাদিক
কামাল হোসেন
ফটো তুলতে
গেলে বালি
ও পাথার
খেকো সুরহান
মিয়া, রহিছ
মিয়ার গ্রুপের
লোকজন হামলা
চালিয়ে ক্যামেরা
ও মোবাইল
ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশ এসে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অবৈধভাবে
বালি ও
পাথার উত্তোলন
বন্ধ করে
দেয়।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল্লাহ এ ঘটনার
সত্যতা নিশ্চিত
করে বলেন,
ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে
মামলা দায়েরের
প্রস্তুতি চলছে।