নায়করাজ
রাজ্জাকের শারীরিক অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। তার ফুসফুসে পানি জমে
যাওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। কয়েকদিন ধরেই যন্ত্রের মাধ্যমে
কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে।
এদিকে,
বুধবার রাজ্জাকের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বক্ষব্যাধি,
হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত এ মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিক
নজরদারিতে নিয়োজিত রয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের
চিফ অব কমিউনিকেশন এন্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. শাগুফা আনোয়ার জানান, নায়ক
রাজের রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং প্রস্রাবের পরিমাণ
ও মাত্রা স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উনি সচেতন ও সজাগ রয়েছেন তবে
উনার অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, রাজ্জাকের হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা এখনও খুবই কম।
ফলে ফুসফুসে পানি জমে যাচ্ছে। এছাড়াও ওনার ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি
ডিজিজ (সিওপিডি) রোগটির কারণে ফুসফুসের প্রসারণ ক্ষমতা সংকুচিত হওয়ার ফলে
শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তাছাড়া ওনার বয়স ৭০ এর
উপর হওয়ায় বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা এবং ওনার ফুসফুসে ইনফেকশন থাকায় সেই সাথে
পূর্ববর্তী নিউমোনিয়া রোগের ইতিহাস থাকায় উনাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট থেকে
বের করে আনা যাচ্ছে না।
এদিকে
রাজ্জাকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তাঁর ছোটপুত্র সম্রাট জানান, ‘বাবার অবস্থা
এখন আগের চেয়ে ভালো। তিনি যাতে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন সে জন্য দেশবাসীর
দোয়া কামনা করেন তিনি।
গত
২৬ জুন সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি
বিভাগে ভর্তি হন নায়করাজ রাজ্জাক। বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ ড. আদনান ইউসুফ
চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে তাকে চিকিৎসাধীন করা হয় এবং নিবিড় পরিচর্যার জন্য
জেনারেল আইসিউউতে নেয়া হয়। তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার পর ধীরে ধীরে
অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু পরদিন আবার তাকে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে
কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের আওতায় নেয়া হয়।