মধুর ম্যাজিক

S M Ashraful Azom
মধুর উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানে।প্রাচীনকাল হতেই মধু বিশ্বের সর্বত্র ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধুতে আছে সৌন্দর্যবর্ধক, সাস্থ্যবর্ধক ও রোগ নিরাময়কারি উপাদান। হাজার হাজার বছর ধরে তাই একটি অতি প্রয়োজনীয় ভেষজ হিসেবে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধুর অসংখ্য উপকারিতার কয়েকটি নিয়ে এখানে আলোচনা করা হল।
 
১) মধুতে বিদ্যমান গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং শর্করা শরীরে শক্তি সবরাহের কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ১ চামচ মধু সারাদিনের জন্য দেহের পেশীর ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে ও আপনাকে রাখবে এনার্জিতে ভরপুর।
 
২) মধু ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে হজম শক্তি বাড়ে।ফলে খাবারের ক্যালোরি দ্রুত ক্ষয় হয়।
 
৩) রোজকার ফেস প্যাকে ব্যবহার করতে পারেন এক চামচ মধু। ত্বকের উপরিভাগের মৃত কোষ দূর করে মুখের ত্বকে ভাঁজ পড়া রোধ করবে।
 
৪) মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। কোথাও পুড়ে, কেটে গেলে ক্ষতস্থানে মধুর একটি পাতলা প্রলেপ দিন। ব্যথা কমবে ও দ্রুত নিরাময় হবে।
 
৫) মধুতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। চর্মরোগ হলে আক্রান্ত স্থানে মধু লাগান। এক চামচ মধুর সাথে অল্প পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
 
৬) মধুতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে কাজ করে শরীরের চামড়াকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অনেকটা প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের কাজ করে মধু।এক চামচ মধুর সাথে পানি মিশিয়ে প্রতিদিন ফেসপ্যাকের মতন লাগান। রোদে পোড়াজনিত কালো দাগ দূর হয়ে চেহারা হবে ঝলমলে।
 
৭) রাতে ঘুমের আগে নিয়মিত ঠোঁটে মধু লাগান। মধু ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক ও কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করে তুলতে সহায়তা করে।
 
৮) মধুর ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, সি, কপার , আয়োডিন ও জিংক দেহে এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
 
৯) সাইনাসের কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের যে কোন সমস্যা থেকে মধুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ শরীরকে মুক্ত রাখে। চা কিংবা উষ্ণ পানির সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।
 
১০) যাদের খুসখুসে কাশির সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন এক চামচ আদার রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খান। দ্রুত আরোগ্য হবে।
 
১১) মধু ও দারচিনির মিশ্রণ নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমে এবং যাদের ইতিমধ্যেই একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাদের দ্বিতীয়বার অ্যাটাকের ঝুকি কমে।
 
১২) মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
 
১৩) বাতের ব্যথা উপশম করে। মাথা ব্যথা দূর করে।
 
১৪) শিশুদের দৈহিক গড়ন ও ওজন বৃদ্ধি করে।
 
১৫) মধু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, ফলে শরীর হয়ে ওঠে সতেজ ও কর্মক্ষম।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top