রাজশাহীর
চারঘাটে ভোটকেন্দ্রে হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং ভোটারদের বাধাদানের মামলার
আসামি, বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং জামায়াত কর্মীর আওয়ামী লীগে
যোগদানের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূল
নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকালে
শলুয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত ইফতার ও প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠানে স্থানীয়
সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে তারা
আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।
যোগদানকারীরা
হলেন— শলুয়া ইউপি কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বাচ্চু ও
শলুয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক, স্থানীয় জামায়াত কর্মী হুমায়ূন কবির। তবে
তাদের নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীর আওয়ামী লীগে যোগদান নিয়ে ওই
এলাকায় তেমন বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। শলুয়া ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি
মফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চারঘাট উপজেলা, পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট
ইউপি চেয়ারম্যানসহ দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ
সূত্রে জানা গেছে, মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ জানুয়ারির জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের দিন ভোটারদের ওপর হামলা-বাধাদান ও ভোটের আগের রাতে শলুয়া
ডিগ্রি কলেজ ভোটকেন্দ্রে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আছে। ২০১২ সালে
শলুয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে যুদ্ধাপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলের তাফসির অনুষ্ঠান নিয়ে জারিকৃত ১৪৪ ধারা
ভঙ্গের মামলার এজাহার নামীয় আসামি তিনি। ইতিমধ্যে ভোটকেন্দ্রে হামলা ও
অগ্নিসংযোগের মামলায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করায় আদালত তার
বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে।