ঠিকাদারের বিল বাকি থাকায় ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই সপ্তাহ ধরে রোগীদের খাবার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ১ জুলাই থেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অতিরিক্ত ১৯ শয্যার রোগীরা এ খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় রোগীরা সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ৩১ থেকে ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু হয় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ দফায় উন্নয়ন খাতে মাত্র ২ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ পায় এ প্রতিষ্ঠানটি। গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসের খাদ্য সরবরাহের বিল পরিশোধ করা হয়। এরপর আর অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৯ মাসে অতিরিক্ত ১৯ শয্যার রোগীদের খাবার সরবরাহ বাবদ প্রায় ৫ লাখ টাকার বিল বকেয়া পড়ে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ওই বিল দাখিল করলেও তা দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুন অতিরিক্ত ১৯ শয্যার রোগীর খাদ্যের বকেয়া বিল পরিশোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দিক নির্দেশনা চেয়ে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। এ চিঠির সূত্র ধরে উপরোক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২১ জুন ঠাকুরগাও সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক (ডিজি) ঢাকা বরাবর পত্র দিয়েও কোনো দিক নির্দেশনা না পায়নি। যেকারণে ১ জুলাই থেকে ১৯ শয্যার রোগীর খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খাবার সরবরাহকারী আব্দুল আজিজ বলেন, অর্থ না পাওয়ায় অতিরিক্ত শয্যার খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করতে হয়েছে। আর বকেয়া ৫ লাখ টাকার যে বিল দেওয়া হয়েছে, তা পাওয়া যাবে কিনা এ নিয়ে দুচিন্তায় ভুগছি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, ১৯ শয্যার রোগীর খাবার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।