ঈদের আয়োজনে রেজালা না হলে কি চলে? তবে অনেকেই গরু বা খাসির মাংস খেতে পারেন, তাঁদের একমাত্র ভরসা মুরগী। চেনাজানা এই মুরগীর স্বাদে ভিন্নতা আনা বেশ কঠিন। তবে হ্যাঁ, সঠিক রেসিপি জানলে কিন্ত মুরগী রেঁধেই তাক লাগিয়ে দিতে পারবেন সবাইকে। সায়মা সুলাতানার ছবিতে দেখুন, দেখেই জিভে জল আসছে না? চলুন, তাহলে জেনে নিই দারুণ একটি রেসিপি “সাতকড়া দিয়ে মুরগীর রেজালা”। উপকরণ মুরগির মাংস ১ কেজি পরিমাণ এর ১ টি ( মাঝারি সাইজ করে কাটা ) সাতকড়া ২ চাক একদম মিহি করে কাটা (এটি সিলেটের একটি বিখ্যাত ফল) পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ আদা বাটা ২ টেবিল চামচ হলুদ মরিচ ধনিয়া গুঁড়ো মিলে ১ চা চামচ টক দই ২ টেবিল চামচ কাজু বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ পোস্ত বাটা ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো ২ চা চামচ জিরা বাটা ১ চা চামচ টমেটো কেচাপ ১ টেবিল চামচ তেজপাতা লবঙ্গ দারচিনি কয়েক টুকরা নারিকেল দুধ ১ কাপ লবণ স্বাদমত তেল হাফ কাপ কাঁচা মরিচ কয়েকটা বেরেস্তা পরিবেশনের জন্য প্রণালি -প্রথমে হাঁড়িতে তেল দিয়ে তেল গরম হলে এতে তেজপাতা, লবঙ্গ, দারচিনি দিন। এবার পেঁয়াজ কুচি যোগ করুন। -পেঁয়াজটা বেশ লাল করে ভাজা হলে একে একে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা, হলুদ মরিচ ধনিয়া গুঁড়ো, টক দই ,কাজু বাদাম বাটা, পোস্ত বাটা , গরম মশলা গুঁড়া ,জিরা বাটা দিয়ে অল্প পানি দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন। -তাড়াহুড়া করবেন না, মশলা সময় নিয়ে কষাতে হবে। -এবার মুরগির মাংস দিয়ে নাড়াচাড়া করে কষিয়ে নিন আরো ২০ মিনিট। -এখন সাতকড়া একদম মিহি করে কষানো মাংস-তে দিন,এবার মাংসতে টমেটো কেচাপ, নারকেল দুধ আর উপরে আস্ত কাঁচামরিচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে কম আঁচে রান্না করুন আরো ১৫ মিনিট। -১৫ মিনিট রান্না করার পর মাংসটা নরম হয়ে সুন্দর কষানো হবে। তেল উপরে উঠে আসলেই বুঝবেন হয়ে গেছে । পরিবেশনের সময় উপরে বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন। আমি এই রান্নাতে আলু দিয়েছি আপনারা চাইলে আলু ছাড়া রান্না করতে পারেন -সুন্দর একটা লেবুর গন্ধ পাবেন মাংস থেকে । পোলাও, নান, পরোটা অথবা ভাতের সাথে খেয়ে দেখুন অনেক মজা।
সাধারণ মুরগীর মাংস দিয়েই রেঁধে ফেলুন সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের এক “চিকেন রেজালা”
জুলাই ১৯, ২০১৫
ট্যাগস