এলসি ছাড়া পণ্য আমদানির সীমা বাড়ল

S M Ashraful Azom
এখন থেকে বাণিজ্যিক আমদানিকারক হিসেবে নিবন্ধিত ব্যক্তিরা ব্যাংকে এলসি খোলা ছাড়াই বছরে দুই লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করতে পারবেন। আর শিল্প খাতের  আমদানিকারক হিসেবে নিবন্ধিতদের  এলসি ছাড়া আমদানির বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত গেজেটের আলোকে রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে।
 
আমদানি নীতি আদেশের ৮ অনুচ্ছেদ অনুযয়ী, শর্তে সাপেক্ষে ব্যাংকে এলসি না খুলেই নির্দিষ্ট কিছু পণ্য আমদানির সুযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত ‘এলসিএ ফরম’ পূরণ করে এ পণ্য আমদানি করতে হয়। বিভিন্ন পক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ জুন নীতিমালায় কিছুটা সংশোধনী এনে গেজেট প্রকাশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
 
সেখানে বলা হয়েছে, এখন থেকে শিল্প খাতের আমদানিকারক হিসেবে নিবন্ধিত আমদানিকারকরা স্বীয় কারখানায় ব্যবহারিত কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে যে কোন পরিমাণের পণ্য এলসি ছাড়া আমদানি করতে পারবেন। এর আগে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও তা স্পষ্ট ছিল না।
 
এ ছাড়া, এত দিন বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা এলসি ছাড়া বছরে সর্বোচ্চ এক লাখ ডলারের যে কোন পণ্য আমদানির সুযোগ পেতেন। এখন তা বাড়িয়ে বছরে ২ লাখ ডলার করা হয়েছে। তবে মায়ানমার থেকে চাল, ডাল, ভূট্রা, সীম, আদা, রসুন, সয়াবিন তেল, পামওয়েল, পেঁয়াজ ও মাছ আমদানির ক্ষেত্রে এক চালানে ৫০ হাজার ডলার ও অন্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এক চালানে ৩০ হাজার ডলার আমদানি করা যাবে।
 
আর দ্রুত পচনশীল খাদ্যদ্রব্য টেকনাফ শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি চালানে ৫০ হাজার ডলার ও অন্যান্য স্থল বন্দরের মাধ্যমে ১০ হাজার ডলারের এবং নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য যে কোন পরিমাণে এলসি ছাড়া আমদানি করা যায়। আর সরকারি ব্যবস্থাপনায় চাল আমদানির ক্ষেত্রে একক চালানে ২০ লাখ ডলার পর্যন্ত আমদানির বিধান রয়েছে।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top