মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের
চৌধুরীর আপিলে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ করেছে । রাষ্ট্রপক্ষ তার সর্বোচ্চ
সাজা বহাল রাখার আবেদন করেছে। আগামী রবিবার থেকে আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন
শুরু করবে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চে এ আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অতি প্রয়োজন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যুদ্ধের সময় সালাউদ্দিন চৌধুরী পাকিস্তানি বাহিনী ও নিজস্ব বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। একই দিনে চার স্থানে পর্যন্ত তাণ্ডব চালানো হয়। ’৭১-এর এপ্রিল থেকে জুলাই পযর্ন্ত এসব অপরাধ হয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর বেশি হামলা করা হয়। যেন তারা দেশ ছেড়ে চলে যান।
তিনি বলেন, এসব অপরাধের চারটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল এ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দিয়েছে। তার মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল থাকা ন্যায় এবং অতি প্রয়োজন বলে আদালতে আর্জি পেশ করেছি।
এর আগে আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান শুনানিতে ট্রাইব্যুনালে মামলায় প্রমাণিত অভিযোগে প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য উপস্থাপন শেষ করেন। গত ১৬ জুন শুনানি শুরু করে ট্রাইব্যুনালের রায়, সাক্ষীদের সাক্ষ্য-জেরা এবং রায় সংক্রান্ত নথিপত্র (পেপারবুক) উপস্থাপন করেছে আসামিপক্ষ। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শুরু হয়ে আজ শেষ হয়।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার পর পরই গত ১৬ জুন শুরু হয় আপিল বিভাগে আসা ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে পঞ্চম আপিলের শুনানি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড রায়ের বিরুদ্ধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল আবেদনটি আপিল বিভাগে পঞ্চম আপিল মামলা।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর এ আপিল দায়ের করেন।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেনি। তবে আপিলে আসামিপক্ষের শুনানির বিপরিতে রায় বহাল রাখার পক্ষে আর্জি পেশ করে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-১এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল সাকা চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়।
রায়ে বলা হয়, সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে ৩,৫,৬ ও ৮ নং অভিযোগের প্রতিটিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড ২,৪ ও ৭নং অভিযোগের প্রতিটিতে তাকে ২০ বছর করে জেল এবং ১৭ ও ১৮ নং অভিযোগে তাকে ৫ বছর করে জেল দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে ট্রাইব্যুনাল-১।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ২৩টি অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়। সাকা চৌধুরীকে ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে হরতালে গাড়ি পোড়ানো ও ভাংচুরের এক মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তের স্বার্থে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চে এ আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অতি প্রয়োজন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যুদ্ধের সময় সালাউদ্দিন চৌধুরী পাকিস্তানি বাহিনী ও নিজস্ব বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। একই দিনে চার স্থানে পর্যন্ত তাণ্ডব চালানো হয়। ’৭১-এর এপ্রিল থেকে জুলাই পযর্ন্ত এসব অপরাধ হয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর বেশি হামলা করা হয়। যেন তারা দেশ ছেড়ে চলে যান।
তিনি বলেন, এসব অপরাধের চারটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল এ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দিয়েছে। তার মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল থাকা ন্যায় এবং অতি প্রয়োজন বলে আদালতে আর্জি পেশ করেছি।
এর আগে আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান শুনানিতে ট্রাইব্যুনালে মামলায় প্রমাণিত অভিযোগে প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য উপস্থাপন শেষ করেন। গত ১৬ জুন শুনানি শুরু করে ট্রাইব্যুনালের রায়, সাক্ষীদের সাক্ষ্য-জেরা এবং রায় সংক্রান্ত নথিপত্র (পেপারবুক) উপস্থাপন করেছে আসামিপক্ষ। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শুরু হয়ে আজ শেষ হয়।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার পর পরই গত ১৬ জুন শুরু হয় আপিল বিভাগে আসা ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে পঞ্চম আপিলের শুনানি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড রায়ের বিরুদ্ধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল আবেদনটি আপিল বিভাগে পঞ্চম আপিল মামলা।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর এ আপিল দায়ের করেন।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেনি। তবে আপিলে আসামিপক্ষের শুনানির বিপরিতে রায় বহাল রাখার পক্ষে আর্জি পেশ করে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-১এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল সাকা চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়।
রায়ে বলা হয়, সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে ৩,৫,৬ ও ৮ নং অভিযোগের প্রতিটিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড ২,৪ ও ৭নং অভিযোগের প্রতিটিতে তাকে ২০ বছর করে জেল এবং ১৭ ও ১৮ নং অভিযোগে তাকে ৫ বছর করে জেল দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে ট্রাইব্যুনাল-১।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ২৩টি অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়। সাকা চৌধুরীকে ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে হরতালে গাড়ি পোড়ানো ও ভাংচুরের এক মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তের স্বার্থে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।