বিএমপি’র (বরিশাল মেট্রো পালিটন
পুলিশ) সৃষ্ট নতুন পদে পদোন্নতি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রায় কোটি টাকা উৎকাচ
আদায়ে জড়িত থাকার অভিযোগে উপ-পুলিশ কমিশনার জিল্লুর রহমানকে বুধবার
সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এ
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী জানান-
জিল্লুর রহমানকে বরিশাল মেট্রো পালিটন উত্তর জোনের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার
করে সিলেট রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।
একই অভিযোগে গত ২৭ জুন জিল্লুর রহমানের বডিগার্ডিসহ মেট্রোপলিটন পুলিশের ১০ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তারা
হলেন, রিজার্ভ অফিসের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনিসুজ্জামান, এএসআই
মনির হোসেন (বিএমপি নম্বর ৯০), নায়েক মো. কবির হোসেন (বিএমপি নম্বর ৩৩৫),
ড্রাইভার শহীদুল ইসলাম (কং নং ৯৭৮), বাবলু জোমাদ্দার (কং নং ৩৬৩), রেশন
স্টোর কিপার মো. আব্বাস উদ্দিন (কং নং ৭৯৭), আরিফুর রহমান (কং নং ৭২২),
ডিবির কনস্টেবল তাপস কুমার মন্ডল (কং নং ৪১৩), ড্রাইভার দোলন বড়াল (কং নং
৫২৫) ও এএসআই হানিফ।
পুলিশ
সূত্রে জানা গেছে- বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ২৩০ সদস্য পুলিশের বিশেষ
পরীক্ষায় পদোন্নতির জন্য পাশ করে বসে আছেন। বিএমপিতে জনবল বৃদ্ধির অনুমতি
করানোর মাধ্যমে সৃষ্ট পদে পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার কথা বলে
অভিযুক্তরা ২৩০ জনের কাছ জনপ্রতি ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা করে প্রায় এক
কোটি টাকা উত্তোলন করে। বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টার জানতে পেরে তদন্ত কমিটি
গঠন করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে তিনজনের নামে খোলা যৌথ একাউন্টে ঘুষের ১৬ লাখ টাকা থাকলেও বাকি টাকার হদিস মিলছে না।
গত
১৭ জুন পুলিশের সিকিউরিটি সেল যৌথ ব্যাংক একাউন্টের মালিক তিন পুলিশ
সদস্যকে ঢাকায় নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা
টাকা তোলার বিষয়টি স্বীকার করেন।
তাদের
দেয়া তথ্যমতে পরবর্তীতে রিজার্ভ অফিসের এএসআই আনিস ও কামালকে সিকিউরিটি
সেল ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন
একাধিক কর্মকর্তার নাম বেরিয়ে আসে।
২৮
জুন অভিযুক্ত ১০ পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করার পর আজ বুধবার উপ-পুলিশ
কমিশনার জিল্লুর রহমানকে সাসপেন্ড করা হয়। তার বাড়ি বগুড়া জেলায়।
হবিগঞ্জের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে পদোন্নতি পেয়ে বিএমপি’র উপ- পুলিশ (সদর )
হিসাবে যোগদান করেন। এরপর জাতিসংঘ মিশনে সুদানে দায়িত্ব পালন শেষে দেড় বছর
পূর্বে ফিরে এলে বিএমপি’র উত্তর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া
হয়।