বর্ষার গানে মুখরিত ছায়ানট

S M Ashraful Azom
দিনভর অবিশ্রান্ত বর্ষণ এই অঝোর ধারার মাঝে ছায়ানটের বর্ষার গান আনন্দ হয়ে ধরা দিল দর্শকদের মাঝে। বৃষ্টি মানুষের মনকে মোহগ্রস্ত করে তোলে। নিঃসঙ্গতা বোধকেও করে তোলে তীব্র। নবণীতা চক্রবর্তী নজরুল গীতি ‘মেঘের ডমরু ঘন বাজে’ গানে বর্ষার সেই রূপটিকেই ফুটিয়ে তুললেন। ঝুমা খন্দকার যখন অতুল প্রসাদের ‘বঁধুয়া নিদ নাহি আঁখি পাতে’ গান ধরলেন তখন মন ব্যাকুল করে তুললো। গানের সুরে বর্ষা পেল বিরহী রূপ। গতকাল ছায়ানট আয়োজন করেছিল বর্ষার অনুষ্ঠান। শিল্পীদের গানে, নূপুরের নিক্বণে মুখর হয়ে উঠেছিল প্রধান মিলনায়তন।
 
অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল ওস্তাদ অসিত দে’র খেয়াল পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল। আবৃত্তি করেন কৃষ্টি হেফাজ ও রফিকুল ইসলাম। এরপর সম্মেলক কণ্ঠে ‘রিম ঝিম ঘন ঘনরে’ এই রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল পর্ব। গতকালের এ অনুষ্ঠানে একক কণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন সৈকত মুখার্জী ‘তিমির অবগুণ্ঠনে’, সত্যম কুমার দেবনাথ ‘আজি শ্রাবণ ঘন গহন মোহে’ ও ‘নীল অঞ্জন ঘন পুঞ্জ ছায়ায়’, এটিএম জাহাঙ্গীর গেয়ে শোনান ‘ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’, ইলোরা আহমেদ শুক্লা ‘বন্ধু রহো রহো’, তানিয়া মান্নান ‘শ্যামল ছায়া নাইবা গেলে’ ও ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’,। নজরুল গীতি গেয়ে শোনান লতিফুন জুলিও ‘ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা’, মাহমুদুল হাসান ‘অঝোর ধারায় বর্ষা ঝরে’। এছাড়াও শিল্পীদের দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও দলীয় নৃত্য পরিবেশনা উপভোগ করেন দর্শকরা। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন তবলায় এনামুল হক ওমর ও স্বরূপ হোসেন। এস্রাজে অসিত বিশ্বাস ও মন্দিরায় প্রদীপ কুমার রায়।
 
১২১ সেরা সংগঠক পেলেন সেরা সংগঠক উদ্দীপনা পুরস্কার
 
গতকাল শনিবার সকালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইস্ফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ)’ এর অন্যতম সাব কম্পোনেন্ট ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র ঢাকা বিভাগের সেরা সংগঠকগণের উদ্দীপনা পুরস্কার বিরতণ করা হয়। গতকাল ঢাকা বিভাগের ১২১ জন সংগঠককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেরা সংগঠক উদ্দীপনা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, সেকায়েপ প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহামুদ-উল-হক ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘তরুণদের মানুষের মতো মানুষ হওয়ার জন্য বই পড়তে হবে। বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আরো এগিয়ে যেতে হবে।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top