ফেসবুক ভাইবার হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ

Unknown
সেবা ডেস্ক: ফেসবুক-ভাইবার-হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগের কয়েকটি মাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আজ বুধবার দুটি আলাদা নির্দেশনায় এ সব মাধ্যম বন্ধ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
তবে ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে সংস্থাটি। যদিও বেলা দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল।
বিটিআরসির উচ্চ পর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে বিটিআরসি এ নির্দেশনা জারি করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
বুধবার দুপুরে প্রথম নির্দেশনায় ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করার নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। পরে আরেকটি নির্দেশনায় লাইন, ট্যাংগো, হ্যাংআউটসহ আরও কয়েকটি মাধ্যম বন্ধের কথা জানানো হয়।
একাধিক মুঠোফোন অপারেটর, ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) বিটিআরসির এ নির্দেশনা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেন, দুপুরে বিটিআরসি থেকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে দুটি লিখিত আদেশ পাঠানো হয়।
কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, লিখিত নির্দেশনায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধের কথা বলা হলেও মৌখিকভাবে ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী আইআইজিগুলো বেলা দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এক ঘন্টা ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখে। পরে বিটিআরসি থেকে ইন্টারনেট সেবা চালু করার কথা জানিয়ে দেওয়ার পর সেটা চালু করা হয়।
তবে ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশনার কথা অস্বীকার করেছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শাহজাহান মাহমুদ। তিনি বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব মাধ্যম বন্ধ করতে গিয়ে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের ওপর কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে তা হবে সাময়িক।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় ‘নিরাপত্তার’ কারণ দেখিয়ে ভাইবার, ট্যাংগো, হোয়াটসঅ্যাপ, মাইপিপল ও লাইন নামের পাঁচটি অ্যাপসের সেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। তখন বলা হয়েছিল, বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এসব অ্যাপস ব্যবহার করতেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সীমিত বা বন্ধ করার বিষয়ে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেদারল্যান্ডস থেকে ফিরে গত ৮ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গি অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধরতে জটিলতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল করেছি। এর শুভ ফলও যেমন আছে, খারাপ ফলও আছে। আমরা থ্রি-জি ও ফোর-জিতে চলে গেছি। এ কারণে জঙ্গিরা ইন্টারনেট, ভাইবার থেকে শুরু করে নানা ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে। সে জন্য আমাদের চিন্তাভাবনা আছে, যদি খুব বেশি ব্যবহার করে হয়তো একটা সময়ের জন্য বা কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দেব। এই লিংকগুলো (জঙ্গি অর্থায়নের সূত্র) যাতে ধরা যায়।’
১১ নভেম্বর জাতীয় সংসদেও একই ধরনের বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কোনোভাবে সহ্য করা হবে না। কিছুদিনের জন্য হলেও এটা বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের যাতে ধরা যায় সে পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এটা বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে ধরা হবে।’
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top