সেবা ডেস্ক: আজমেরী হক বাঁধন। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার, অতঃপর ড্রইংরুম মিডিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা। খণ্ড, ধারাবাহিক নাটক ও বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কাজ করছেন। এ মুহূর্তে সাগর জাহানের পরিচালনায় ‘এ কূলে আমি আর ঐ কূলে তুমি’ ধারাবাহিকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন বাঁধন। রাজধানীর উত্তরায় নাটকটির শুটিং চলাকালে বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন তিনি। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মারুফ কিবরিয়া
কেমন আছেন কেমন চলছে সব
আলহামদুলিল্লাহ। অনেক ভালো আছি। কিন্তু মনটা খুব খারাপ। আর সেসঙ্গে ভয়ও কাজ করছে।
কেন, কি হয়েছে
ফ্রান্সে এতবড় একটা ঘটনা ঘটে গেলো। মানুষ এভাবে মানুষের সঙ্গে বর্বর আচরণ করতে পারে! খুবই খারাপ লাগলো এমন একটি ঘটনার কথা শোনার পর। সেসঙ্গে ভয় পাচ্ছি এ কারণে যে, কখন আমাদের দেশে কি ঘটে বসে।
‘এ কূলে আমি আর ঐ কূলে তুমি’ নাটকটিতে আপনার ভূমিকা কি
এখানে আমি শখের বড় বোনের ভূমিকায় অভিনয় করছি। আমার স্বামীর চরিত্রে রয়েছেন ফারুক আহমেদ ভাই। আমার কোন সন্তান হয় না। এ নিয়ে হতাশার মধ্যে দিন কাটে সবসময়। সেসঙ্গে বাবা-মাও বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তিত। সবমিলিয়ে ভালো একটি গল্পের নাটক। আশা করছি সবার ভালো লাগবে। আর এ নাটকের মধ্য দিয়ে প্রথমবার সাগর জাহানের নির্দেশনায় অভিনয় করছি।
আর কোন নতুন নাটকে অভিনয় করছেন
এ মুহূর্তে আর কোন নতুন নাটকে কাজ করছি না। প্রচার চলতি ধারাবাহিকগুলোর শুটিং চালিয়ে যাচ্ছি। আর নতুন বলতে সাখাওয়াত মানিকের পরিচালনায় ‘মেঘে ঢাকা শহর’ নাটকের কাজ শেষ করেছি। এটি লিখেছেন রুদ্র মাহফুজ। তাছাড়া আগে থেকে কাজ চলে আসা নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দলছুট প্রজাপতি’, ‘তীরন্দাজ’, ‘সহযাত্রী’, ‘ডিবি’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘নীল নির্বাসন’।
খণ্ড নাটকে কাজ করছেন না
এ মুহূর্তে আসলে সাগর জাহানের এ নাটকটি নিয়েই বেশি ব্যস্ত। এর টানা শুটিং চলছে। তাই তেমন একটা কাজ হচ্ছে না। তবুও এর মাঝে যদি সময় মেলে তখন হয়তো করতে পারি। যেমন কিছুদিন আগে সেলিম রেজা সেন্টুর পরিচালনায় ‘কিছুক্ষণ’ খণ্ড নাটকটির কাজ করেছি। আর ঈদ কিংবা বিশেষ দিন ছাড়া তো এ ধরনের নাটকে তেমন একটা কাজ হয়ও না। তাই খুব একটা ব্যস্ততা নেই খণ্ড নাটকে।
নতুন কোন বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন
আরএফএল ফার্নিচারের একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলাম কিছুদিন আগে। এটি নির্দেশনায় ছিলেন অংকু। এছাড়া কোকোলা নুডুলসের বিজ্ঞাপনটি প্রচার হচ্ছে। প্রস্তাব রয়েছে কিছু নতুন কাজের। তবে নাটকের শুটিংয়ের শিডিউল জটে আটকে আছি। অন্য কোন দিকে সময় দেয়ার মতো সময় পাচ্ছি না।
বর্তমান টিভি নাটক নিয়ে মূল্যায়ন কি
এটা দর্শকের ওপর নির্ভর করে। ভালো-খারাপ তারা দেখেন তারাই বলতে পারবেন। আমাদের শিল্পীদের কাজ তো অভিনয় করা। তবে আমার জায়গা থেকে যদি বলি বলবো, ভালোই হচ্ছে। এখন অনেক চ্যানেল হয়েছে। নাটকের সংখ্যাও বেড়েছে। আর সে জায়গা থেকে প্রতিযোগিতা তো চলছে। নাটকে ভাল যেমন হচ্ছে খারাপ কাজও দর্শকের চোখে ধরা পড়ছে।
মিডিয়ার বাইরে ব্যক্তিগত সময়টা কিভাবে কাটে
আমি বরাবরই নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করি। একটা বিষয় খুব ভালোভাবে মানি। আর সেটা হলো, সময়ের কাজ সময়ে করা। আমি সকালে বের হতেই মেয়েকে নিয়ে বের হই। ওকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে তারপর শুটিংয়ে যোগ দিই। বাইরের সময় বলতে আমার তেমনটা নেই।
অভিনয়ের বাইরে আপনি তো দন্ত চিকিৎসকও। সেটার কি অবস্থা
এটা এখন বন্ধ রেখেছি। একবার চেম্বার নিয়ে বসেছিলামও। কিন্তু পরে আর সেটা করা হয়নি। আসলে এজন্য আরও কিছু সময় দরকার। আমি এ বিষয়ে আরও পড়াশোনা করতে চাই। মিডিয়ার পরিচয়ের কল্যাণে চেম্বার দিলেই যে রোগী আসবে এমনটা আমি চাই না। তাই আরও বেশি দক্ষতার দরকার মনে করেছি। আর সেসঙ্গে বিনিয়োগের ব্যাপারটাও রয়েছে। তাই আপাতত এ কাজটি বন্ধ রেখেছি।
একটি নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। এখন লেখালেখি কি করছেন না
আসলে সময়টা বড় একটা বিষয়। শুটিং শুরুর আগে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসি। আবার রাতে বাসায় ফিরি। তারপর মেয়ে সায়রার পেছনেই আমার পুরো সময়টা কেটে যায়। তাহলে লেখার সময়টা আর কোথায় পাবো।
কেমন আছেন কেমন চলছে সব
আলহামদুলিল্লাহ। অনেক ভালো আছি। কিন্তু মনটা খুব খারাপ। আর সেসঙ্গে ভয়ও কাজ করছে।
কেন, কি হয়েছে
ফ্রান্সে এতবড় একটা ঘটনা ঘটে গেলো। মানুষ এভাবে মানুষের সঙ্গে বর্বর আচরণ করতে পারে! খুবই খারাপ লাগলো এমন একটি ঘটনার কথা শোনার পর। সেসঙ্গে ভয় পাচ্ছি এ কারণে যে, কখন আমাদের দেশে কি ঘটে বসে।
‘এ কূলে আমি আর ঐ কূলে তুমি’ নাটকটিতে আপনার ভূমিকা কি
এখানে আমি শখের বড় বোনের ভূমিকায় অভিনয় করছি। আমার স্বামীর চরিত্রে রয়েছেন ফারুক আহমেদ ভাই। আমার কোন সন্তান হয় না। এ নিয়ে হতাশার মধ্যে দিন কাটে সবসময়। সেসঙ্গে বাবা-মাও বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তিত। সবমিলিয়ে ভালো একটি গল্পের নাটক। আশা করছি সবার ভালো লাগবে। আর এ নাটকের মধ্য দিয়ে প্রথমবার সাগর জাহানের নির্দেশনায় অভিনয় করছি।
আর কোন নতুন নাটকে অভিনয় করছেন
এ মুহূর্তে আর কোন নতুন নাটকে কাজ করছি না। প্রচার চলতি ধারাবাহিকগুলোর শুটিং চালিয়ে যাচ্ছি। আর নতুন বলতে সাখাওয়াত মানিকের পরিচালনায় ‘মেঘে ঢাকা শহর’ নাটকের কাজ শেষ করেছি। এটি লিখেছেন রুদ্র মাহফুজ। তাছাড়া আগে থেকে কাজ চলে আসা নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দলছুট প্রজাপতি’, ‘তীরন্দাজ’, ‘সহযাত্রী’, ‘ডিবি’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘নীল নির্বাসন’।
খণ্ড নাটকে কাজ করছেন না
এ মুহূর্তে আসলে সাগর জাহানের এ নাটকটি নিয়েই বেশি ব্যস্ত। এর টানা শুটিং চলছে। তাই তেমন একটা কাজ হচ্ছে না। তবুও এর মাঝে যদি সময় মেলে তখন হয়তো করতে পারি। যেমন কিছুদিন আগে সেলিম রেজা সেন্টুর পরিচালনায় ‘কিছুক্ষণ’ খণ্ড নাটকটির কাজ করেছি। আর ঈদ কিংবা বিশেষ দিন ছাড়া তো এ ধরনের নাটকে তেমন একটা কাজ হয়ও না। তাই খুব একটা ব্যস্ততা নেই খণ্ড নাটকে।
নতুন কোন বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন
আরএফএল ফার্নিচারের একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলাম কিছুদিন আগে। এটি নির্দেশনায় ছিলেন অংকু। এছাড়া কোকোলা নুডুলসের বিজ্ঞাপনটি প্রচার হচ্ছে। প্রস্তাব রয়েছে কিছু নতুন কাজের। তবে নাটকের শুটিংয়ের শিডিউল জটে আটকে আছি। অন্য কোন দিকে সময় দেয়ার মতো সময় পাচ্ছি না।
বর্তমান টিভি নাটক নিয়ে মূল্যায়ন কি
এটা দর্শকের ওপর নির্ভর করে। ভালো-খারাপ তারা দেখেন তারাই বলতে পারবেন। আমাদের শিল্পীদের কাজ তো অভিনয় করা। তবে আমার জায়গা থেকে যদি বলি বলবো, ভালোই হচ্ছে। এখন অনেক চ্যানেল হয়েছে। নাটকের সংখ্যাও বেড়েছে। আর সে জায়গা থেকে প্রতিযোগিতা তো চলছে। নাটকে ভাল যেমন হচ্ছে খারাপ কাজও দর্শকের চোখে ধরা পড়ছে।
মিডিয়ার বাইরে ব্যক্তিগত সময়টা কিভাবে কাটে
আমি বরাবরই নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করি। একটা বিষয় খুব ভালোভাবে মানি। আর সেটা হলো, সময়ের কাজ সময়ে করা। আমি সকালে বের হতেই মেয়েকে নিয়ে বের হই। ওকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে তারপর শুটিংয়ে যোগ দিই। বাইরের সময় বলতে আমার তেমনটা নেই।
অভিনয়ের বাইরে আপনি তো দন্ত চিকিৎসকও। সেটার কি অবস্থা
এটা এখন বন্ধ রেখেছি। একবার চেম্বার নিয়ে বসেছিলামও। কিন্তু পরে আর সেটা করা হয়নি। আসলে এজন্য আরও কিছু সময় দরকার। আমি এ বিষয়ে আরও পড়াশোনা করতে চাই। মিডিয়ার পরিচয়ের কল্যাণে চেম্বার দিলেই যে রোগী আসবে এমনটা আমি চাই না। তাই আরও বেশি দক্ষতার দরকার মনে করেছি। আর সেসঙ্গে বিনিয়োগের ব্যাপারটাও রয়েছে। তাই আপাতত এ কাজটি বন্ধ রেখেছি।
একটি নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। এখন লেখালেখি কি করছেন না
আসলে সময়টা বড় একটা বিষয়। শুটিং শুরুর আগে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসি। আবার রাতে বাসায় ফিরি। তারপর মেয়ে সায়রার পেছনেই আমার পুরো সময়টা কেটে যায়। তাহলে লেখার সময়টা আর কোথায় পাবো।
