টপ৫০০লিস্টের বরাতে জানা গেছে, চীনে সুপারকম্পিউটারের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ হয়েছে। এমনকি সুপারকম্পিউটারের শক্তির দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্রকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে চীন। এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমানে চীনে ১০৯টি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন সুপারকম্পিউটার রয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে দুইশটি সুপারকম্পিউটার, কিন্তু কর্মক্ষমতায় চীনের সুপারকম্পিউটারগুলো থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সুপারকম্পিউটারগুলো। এ বছরের টপ৫০০লিস্ট-এর সুপারকম্পিউটার তালিকায় বরাবরের মতোই শীর্ষস্থানে রয়েছে তিয়ানহে-২। এ নিয়ে ধারবাহিকভাবে ষষ্ঠবারের মতো প্রথম স্থান দখল করল চীনা এই সুপারকম্পিউটারটি। কিন্তু হঠাৎ করেই এভাবে চীনে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন সুপারকম্পিউটারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার মূল কারণটি কী হতে পারে? এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বাজার গবেষণা সংস্থা আইডিসি এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজনিশ অরোরা। তিনি জানিয়েছেন, চীনা সুপারকম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ার পেছনে প্রযুক্তির তাড়নার চেয়েও যে বিষয়টি বেশি কাজ করেছে, তা হল অর্থনীতি ও ব্যবসা। অরোরো আরও জানিয়েছেন, ৮০ ও ৯০-এর দশকের বৈশ্বিক অর্থনীতির সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন উন্নত দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশে যন্ত্রের ডিজাইন প্রস্তুত করলেও, তা উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছিল চীনকে। ফলে সেসব যন্ত্রাদি চীনে উৎপাদিত হলেও সেগুলোর মেধাস্বত্ত্ব পেত না দেশটি। এখন চীনের সেসব উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই যথেষ্ট স্বচ্ছ্বল। আর তাই তারা নিজেরাই নতুন কিছু উৎপাদনে আগ্রহী। এ কারণে অনেকটা নিজ স্বার্থেই প্রতিষ্ঠানগুলো সুপারকম্পিউটারের মতো ব্যয়বহুল যন্ত্র তৈরি করছে। আর এভাবেই হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চীনা সুপারকম্পিউটারের সংখ্যা।