বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের চিন্তার দিন বুঝি শেষ হচ্ছে। বিদ্যালয়ে পৌঁছা কিংবা বাড়ি ফেরার তথ্য জানিয়ে দেবে এখন থেকে যন্ত্র। শুধু তাই নয়, কোনো শিক্ষার্থী হারিয়ে গেলে বা অপহরণের শিকার হলে ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে তাকে খুঁজে বের করা যাবে।
আর এসবই করবে স্মার্ট আইডি কার্ড। ওই কার্ডের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই অভিভাবকরা জানতে পারবনে তাদের সন্তান বিদ্যালয়ে আছে না বাইরে অবস্থান করছে। এমনই কার্ডই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগরীতে প্রথমবারের মতো স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হলো পিএন সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে। সোমবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে রাজশাহীর সরকারি-বেসরকারি সকল বিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে এই কার্ড বিতরণ করা হবে। নিজ উদ্যোগে আই কার্ডের প্রচলন শুরু করলেও শিক্ষামন্ত্রীকে এই কার্ডের জন্য আলাদা বাজেট প্রদানে আহব্বান করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, স্মার্ট আইডি কার্ড পেয়ে শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন। স্মার্ট কার্ডগুলো বিতরণ করেন নর্থ ওয়েস্টার্ন আইটি ভিলেজ।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাডভোকেট আরমান আলী জানান, এ স্মার্ট আইডি কার্ডটিতে ব্যবহার করা হয়েছে রেডিও ফ্রিক্যুয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তি। এ আইডি কার্ড সঙ্গে থাকা কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের গেট দিয়ে প্রবেশ করা মাত্রই বাড়িতে বসেই অভিভাবকরা এসএমএস’র মাধ্যমে জানতে পারবেন। বিদ্যালয় ত্যাগ করলেও অভিভাবকরা এসএমএস’র মাধ্যমে জানতে পারবেন।
স্মার্ট আইডি কার্ডের কল্যাণে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন বলে জানান অ্যাডভোকেট আরমান আলী। শুধু তাই না, শিক্ষার্থীদের কেউ যদি হারিয়ে যায় তাহলে ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে খুজে বের করা যাবে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী অঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী, পিএন সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহারা খানম, নর্থ ওয়েস্টার্ন আইটি ভিলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাডভোকেট আরমান আলী, নর্থ ওয়েস্টার্ন আইটি ভিলেজের পরিচালক শরিফা জাকারিয়া ও নাজমা পারভিন, প্রযুক্তি টিমের প্রধান শাহ্ নেওয়াজ পাভেল প্রমুখ।
