নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় লন্ডনে নির্বাসন নিচ্ছেন।’ বুধবার যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর, বিদেশী ও ব্লগার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক, কর্মচারী, পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। শাজাহান খান বলেন, ‘বেগম জিয়া স্বেচ্ছায় লন্ডনে নির্বাসন নিচ্ছেন। তিনি হয়তো আর দেশে ফিরবেন না। পেট্রোলবোমায় মানুষ মেরেছেন। এ সব খুনের জবাব দেওয়ার মুখ তার নেই। তাই তিনি দেশে ফিরবেন না।’ তিনি বলেন, ‘লন্ডনের কাসিমবাজার কুঠিতে বসে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি তৈরি করা যাবে না। ক্ষমতায় যেতে হলে বাংলাদেশে এসে জনগণের মন জয় করে নির্বাচনে জিততে হবে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াত-শিবির আর তার দোসরদের সঙ্গে ঐক্য হতে পারে না। বুঝে হোক আর না বুঝে হোক যারা ঐক্যের কথা বলছেন তারা রাজাকারদের পক্ষ নিচ্ছেন।’ উচ্চ আদালতে মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রাখার খবরে সন্তোষ প্রকাশ করে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত দেশের শ্রমিক কর্মচারীরা রাজপথে সজাগ থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও ফাঁসি কার্যকর করা, ব্লগার ও বিদেশী হত্যার বিচারের দাবিতে সারা দেশে ব্রিগেড গড়ে তোলা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আগামী ২ ডিসেম্বর শাপলা চত্বরে শ্রমিক কর্মচারী ও পেশাজীবীদের সমাবেশ হবে। এ সমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির ও তার দোসরদের প্রতিহত করার জন্য নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও টিআইবি’র বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে শাজাহান খান বলেন, ‘জামায়াত-শিবির আর তার দোসরদের পক্ষে উল্টো-পাল্টা বক্তব্য না দিয়ে খায়েস থাকলে রাজনীতির মাঠে আসুন। যারা ইউনিয়ন কাউন্সিলের নির্বাচনে দাঁড়ালে জামানত বাঁচাতে পারবেন না তাদের মুখে জনগণ নসিয়ত শুনতে চায় না।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের টাকা খেয়ে উল্টো-পাল্টা বক্তব্য দেওয়ার ফল ভাল হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশ আর পিছাবে না।’ মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, শ্রমিক নেতা ওসমান আলী, আব্দুল মালেক, ম. সাহাবুদ্দিন, কামরুল হাসান প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল মহানগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
