মুক্তিযুদ্ধে ধানুয়া কামালপুরের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে.....বকশীগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী মোজাম্মেল হক এমপি

G M Fatiul Hafiz Babu
0
জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু
 মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন ১১ নং সেক্টর ধানুয়া কামালপুরের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। দেশের অনেক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার রা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানে না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন স্বাধীনতা পরবর্তী ২৯ বছর অন্যান্য সরকার ক্ষমতায় থাকা কালে পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি করায় তারা (ডিসি-এসপি) মুক্তিযুদ্ধের সঠিক সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে নি। তাই বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১০০ নাম্বার সংযুক্ত করা হবে। মন্ত্রী  আরও বলেন যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উড়ে না সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিন।
৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক আয়োজিত ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ধানুয়া কামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক বাবুল চিশতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন , যুদ্ধাপরাধীদেরও তাদের অতীত ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আগামি বছরের জুলাই মাস থেকে বিনামূল্যে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেয়া হবে। সারাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স'ান গুলো সংরক্ষণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় অমুক্তিযোদ্ধা চাকুরী নিয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
মোজাম্মেল হক বলেন , গত ২৯ বছর আমরা ক্ষমতায় না থাকায় তারা (বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টি) ইতিহাস বিকৃতি করেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধান অতিথি বলেন, যতই চেষ্ঠা করেন আর কখনো এদেশে ১৫ আগস্ট আসবে না। তাই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না। শিগগিরই কামালপুর স'ল বন্দর হিসেবে পূর্নতা লাভ করবে বলেও ঘোষণা দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
উক্ত অনুষ্ঠনে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি , বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এমপি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোরশেদ খান বীর বিক্রম, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব এমদাদ হোসেন মতিন, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যুগ্ন মহাসচিব আসাদুজ্জামান আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম সুলতান , জামালপুরের জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান,পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস'াপনা পরিচালক ব্যারিস্টার রাশেদুল হক চিশতি, বকশীগঞ্জ ইউএনও নার্গিস পারভীন , মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক এম ফরিদুজ্জামান খান , জামালপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিকুল ইসলাম খোকা,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সেলিম রেজা, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সার্বিক ব্যবস'াপনায় ওই আলোচনা সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণু করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল চিশতিকে ধন্যবাদ জানান । পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
  


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top