বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এবং মতিউর রহমান নিজামীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, নিজামীর যুদ্ধাপরাধ আপিল শুনানিতে কোন দোষ স্বীকার করা হয়নি। বরং তার বয়ন বিবেচনায় এনে যে কোন দোষ প্রমাণীত হলে সাজার পরিমাণ কমিয়ে দেয়ার আবেদন করেছি আমরা।
নিজামী যুদ্ধাপরাধী ছিল আপিল শুনানিতে স্বীকার করেছেন কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, 'আমাদের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে?'
বুধবার আপিল শুনানির নবম দিনে নিজামীর আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। দিনের শুনানি শেষে মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, 'উনারা (আসামিপক্ষ) যে সাবমিশন করেছেন, আমি যা বুঝেছি, তাতে আমার মনে হল, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তাদের শীর্ষ আইনজীবীরা এই প্রথম তাদের অভিযুক্ত একজন নেতা যে অপরাধী, তা তারা স্বীকার করে নিলেন এবং স্বীকার করে নিয়ে শুধু মৃত্যুদণ্ডের হাত থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য আবেদন করলেন।'
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব বলেন, 'অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেবের যে বক্তব্য আমি টিভিতে শূনলাম, তা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং ফৌজদারী আইন সম্পর্কে অজ্ঞতাপূর্ণ।'
নিজামীর আইনজীবীর দাবি, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ যে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করেছে তাতে জামায়াত আমিরের অপরাধ 'প্রমাণিত হয় না'। শেষ প্রান্তে বলেছি, অনেকগুলো অভিযোগের কোনোটিতে যদি মনে হয়, অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে, সেক্ষেত্রেও আসামির বয়স ও স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে তিনি লঘু দণ্ড পাওয়ার যোগ্য।
জামায়াতে ইসলামীর আমির নিজামী একাত্তরে ছিলেন দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নাজিমে আলা বা সভাপতি এবং সেই সূত্রে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত আল বদর বাহিনীর প্রধান।
বুদ্ধিজীবী গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করা, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও সংঘটনে সহযোগিতার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গতবছর ২৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।