বিশ্বায়নের এই যুগে, স্মার্টফোন শুধুমাত্র একটি হাই-টেক এন্টারটেইনমেন্ট গেজেট নয় বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। ৩জি প্রযুক্তি ও সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য দেশে সাশ্রয়ী মূল্যের উচ্চমানসম্পন্ন স্মার্টফোনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই চাহিদা পূরনে, মোবাইল কোম্পানিগুলো স্বল্পমূল্যের বিভিন্ন ধরণের স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে যা সহজেই স্বল্পবাজেটের মধ্যে পাওয়া যাবে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বাজেটের জন্য এই স্মার্টফোনগুলো খুবই উপযোগী। আজ আমরা স্যামসাং গ্যালাক্সি জে২, সিম্ফনি এক্সপ্লোরার পি৬ ও মাইক্রোসফট লুমিয়া ৫৪০ নিয়ে আলোচনা করব যেন আপনারা অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সেরাদের মধ্যে সেরা ফোনটি বেছে নিতে পারেন।
ডিসপ্লে
স্যামসাং ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে গ্যালাক্সি জে ২ উদ্বোধন করেছে। বাজারে এটিই প্রথম হ্যান্ডসেট যাতে আছে স্টেলার সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও হাই কোয়ালিটি ক্যামেরা। এটি সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারে পাওয়া যাবে। এই সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লেতে রয়েছে ডিজিটাইজিং লেয়ার যা যে কোনো স্পর্শকে চিহ্নিত করতে পারে। এর সুপার অ্যামোলেড প্রথম প্রজন্মের অ্যামোলেড স্ক্রীনের তুলনায় এক-পঞ্চমাংশ সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে। পেন্টাইল মেট্রিক্স পরিবারের এই অংশটিকে মাঝে মাঝে এসঅ্যামোলেড নামেও ডাকা হয়। ডিসপ্লেটির মজার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই ডিসপ্লেটি এর গাঢ় অংশে লাইটগুলো বন্ধ করে দেয় যার ফলে ডিসপ্লেটি গাঢ় কালো রং ও সবচেয়ে বেশি কালার কন্ট্রাস্ট প্রদর্শন করে। ফিচারটির কারণে এনার্জি সেভিং এর মাধ্যমে ব্যাটারীটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। মাল্টিটাচ সম্পন্ন ডিসপ্লেটি এর স্ক্রিনে ১৬ মিলিয়ন রং প্রদর্শন করে যা ৫৪০*৯৬০ পিক্সেল ও ২৩৪ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটির মাধ্যমে হাই ডেফিনেশন ছবি দেখার অভিজ্ঞতা দিবে।
আমাদের পরবর্তী প্রতিযোগী হচ্ছে সিম্ফনি এক্সপ্লোরার পি৬। ফোনটিতে আছে ৭২০*১২৮০ পিক্সেল সম্পন্ন ৫.৩ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে যাতে আছে ২৭৪ পিপিআই ডেনসিটি। প্রযুক্তি প্রেমিদের জন্য ফোনটিতে আছে ডাবল টাচের স্ক্রীন লক। এই ডিসপ্লেটি সর্বোচ্চ ফাইভ ফিঙ্গার মাল্টিটাস্কিং সমর্থন করে। যদি আপনি বড় ডিসপ্লের ফোন পছন্দ করেন তাহলে সিম্পনি এক্সপ্লোরার পি৬ আপনার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু আপনি যদি ক্রিস্প পিকচার কোয়ালিটি, ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল ও উজ্জ্বল রং এর ব্যাপারে কোন আপস করতে না চান তাহলে আপনার জন্য স্যামসাং গ্যালক্সি জে২ সবচেয়ে উপযোগী। স্যামসাং গ্যালাক্সি জে২ এসঅ্যামোলেড টেকনোলজির কারণে এক্সপ্লোরার পি৬ এর চাইতে এগিয়ে আছে। এছাড়াও এর এসঅ্যামোলেড ডিসপ্লেটি সিম্ফনির আইপিএস এলসিডির চাইতেও অনেক কম পাওয়ার খরচ করে।
আপনি যদি মাইক্রোসফট ফোনের জটিল সিস্টেম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে মাইক্রোসফট লুমিয়া ৫৪০ মডেলটিও আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। মাইক্রোসফটের ফোনগুলো ইউজার ফ্রেন্ডলি নয় বলে পরিচিত। তবে, আপনি যদি ফোনটি ব্যবহারে অভ্যস্থ হন তাহলে আপনি কখনোই অন্য কোন ব্র্যান্ড ব্যবহার করতে চাইবেন না। হ্যান্ডসেটটিতে ৭২০*১২৮০ পিক্সেলের ৫ ইঞ্চি এইচডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যা খুবই উন্নত। তবে আপনি যখন খুব কাছ থেকে স্ক্রিনটিকে দেখবেন তখন আপনি সামান্য ডিস্টোরটেড পিক্সেল দেখতে পাবেন। অতিরিক্ত শার্প স্ক্রিনের এই যুগে হাই ডেফিনেশন ফোনের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা। স্ক্রিনটি নিয়মিত ভাবেই উইন্ডোজ ৮ ফরম্যাট এর আপডেট দিয়ে থাকে এবং এর টাইলসগুলোকে কাস্টমাইজড করা যায় ও যখন খুশি তখনই রি-অ্যারেনজড করা যায়। নোকিয়া লুমিয়া ৫৪০ এর ডিসপ্লেটি স্যামসাং গ্যালাক্সি জে২ এর তুলনায় পিছিয়ে আছে যদিও সেটটি সাইজে ০.৩ ইঞ্চি বড় ও উচ্চ মানের রেজ্যুলেশন ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু সামগ্রিক ভিউয়িং এক্সপেরিয়েন্স বিবেচনায় গ্যালাক্সি জে২ লুমিয়া ৫৪০ থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে।
ডিজাইন
স্যামসাং গ্যালাক্সি জে২ তে আছে ৪.৭ ইঞ্চির একটি ডিসপ্লে এবং এর স্ক্রিন টু বডি রেশিও হচ্ছে ৬৪.৭%। ফোনটির ডাইমেনশন হচ্ছে ১৩৬.৫*৬৯*৮.৪ মিলিমিটার। ফোনটি সাদা, কালো ও সোনালী এই তিনটি রঙে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ফোনটি এক হাতে ব্যবহারের পাশাপাশি সহজেই হাতের মুঠোয় রাখা যায়। ফোনটির বডি দেখতে দুর্বল মনে হলেও মূলত এটি খুবই শক্তিশালী এবং রাফ ব্যবহারের উপযোগী।
১৪৮*৭৪*৮.২৫ মিলিমিটারের সিম্ফনি এক্সপ্লোরার পি৬ ফোনটির আছে প্রিমিয়াম প্লাস্টিক ব্যাক যা ফোনটি ধরার সময় আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। ফোনটির সাইড প্যানেলে আছে প্লাস্টিক ব্যান্ড এবং টপ প্যানেলে আছে ৩.৫ মিলিমিটারের অডিও আউটপুট (আরো আছে এয়ার ব্লাস্টার ও ইউএসবি ২.০ পোর্ট)। ফোনটির নিচের দিকে আছে এলইডি নোটিফিকেশন লাইট এবং বটম প্যানেলে আছে লাউডস্পিকার ও মাইক্রোফোন। স্মার্টফোনটিতে আছে ডুয়েল সিম স্লট ও মাইক্রো-এসডি কার্ড স্লট।
মাইক্রোসফটের অন্যান্য ফোনের মতই মাইক্রোসফট লুমিয়া ৫৪০ বডিটি খুবই শক্তিশালী ও দীর্ঘদিন ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। স্মল ও কম্প্যাক্ট সাইজ বডির কারনে ফোনটি এক হাতে খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ব্যবহারকারী অন্যান্য ফোনের তুলনায় এর কিবোর্ড-টি খুবই সেনসিটিভ ও কমফোর্টেবল। এই হ্যান্ডসেটটিতে আছে একটি মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট, ৮ জিবি স্টোরেজ এবং এক জিবি র্যাম।
ক্যামেরা
হাই ডেফিনেশন ডিসপ্লের পাশাপাশি, স্যামসাং গ্যালাক্সি জে২ তে আছে এলইডি ফ্ল্যাশ ও অটোফোকাস সম্পন্ন ২৫৯২*১৯৪৪ পিক্সেলের ৫ এমপি প্রাইমারি ক্যামেরা। ক্যামেরাটির অন্যান্য ফিচারের মধ্যে আরো আছে জিও-ট্যাগিং, টাচ ফোকাস ও ফেইস ডিটেকশন। ক্যামেরাটি ৭২০ পিক্সেলে ৩০ এফপিএস এর মাধ্যমে খুবই সুন্দর ভিডিও ধারণ করতে পারে। সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসেবে ফোনটিতে আছে বিউটি ফেস ফিচার সম্পন্ন ও সেলফি তোলার উপযোগী ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ক্যামেরাটির সবচেয়ে সেরা দিক হলো এর এফ/২.২ অ্যাপারচার যার কারণে স্বল্প আলোতেও খুব সুন্দর ছবি তোলা যায়। ক্যামেরার অ্যাপারচার ফিল্ম অথবা ইমেজ সেন্সরে আলো নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ছবির কোয়ালিটিকে বাড়িয়ে দেয়। অ্যাপারচার সাইজ ফিল্ম/ইমেজের এক্সপোজারে আলো নিয়ন্ত্রন করে, যার মাধ্যমে ফিল্ম ও ইমেজের শার্পনেস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সমমূল্যের অন্যান্য ফোনের তুলনায় গ্যালাক্সি জে২ এর এফ২.২ অ্যাপারচার এর মাধ্যমে আরো শার্প ও পরিষ্কার ছবি তোলা যায়।
সিম্পনি এক্সপ্লোরার পি৬ এ আছে ১৩ এমপি রিয়ার ক্যামেরা কিন্তু এর ট্রাই-এলইডি ফ্ল্যাশলাইটটি ছবির ইমেজ কোয়ালিটিকে অনেক কমিয়ে দিয়েছে। আমরা ছবি তোলাকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকি তাই একে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। ফোনটিতে সেলফি ফ্ল্যাশ সম্পন্ন একটি ৫ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা আছে যা দিয়ে খুবই চমৎকার ছবি তোলা যায়। নতুন নতুন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সিম্পনি এক্সপ্লোরার পি৬ এর ক্যামেরাতে আছে কিছু বেসিক ফিচার। যারা মোবাইলে ডিজিটাল ফটোগ্রাফির কাজ শুরু করেছেন তাদের জন্য এই ফিচারগুলো খুবই উপযোগী। ফোনটি পিকচার মোড সহ ক্যামেরা ফ্রেমকে অটো অ্যালাইন করতে খুবই উপযোগী। তবে স্যামসাং গ্যালাক্সি জে ২ সিম্পনি এক্সপ্লোরার পি৬ তুলনায় সামান্য এগিয়ে আছে। ফোনটিতে আছে প্রো মোড (ম্যানুয়েল সেটিংস) যার মাধ্যমে ফটোগ্রাফার আউটডোর ফটো শ্যুটের ক্ষেত্রে খুব সামান্য সুবিধাই পায় ।
মাইক্রোসফট লুমিয়া ৫৪০ এ আছে অটোফোকাস, ফ্ল্যাশ, টাচ-টু-ফোকাস অপশন সম্পন্ন ৮ এমপি রিয়ার ক্যামেরা যা দিয়ে চমৎকার সব ছবি তোলা যায়। যাই হোক ক্যামেরাটি দিয়ে হাই ডেফিনেশনের ভিডিও ধারণ সম্ভব নয়। এটি দিয়ে সর্বোচ্চ ৪৮০ পিক্সেল পর্যন্ত ভিডিও ধারণ করা যায়। ফোনটিতে সেলফি তোলার জন্য আরো আছে ৫ ইঞ্চি ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা। তবে আপনি যদি এর মাধ্যমে হাই ডেফিনেশন ছবি তুলতে চান তবে আপনাকে নিরাশ হতে হবে।
ওএস, ব্যাটারী লাইফ এবং ক্রয়ক্ষমতা
স্যামসাং গ্যালাক্সি জে২-তে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এ আছে ৫.১.১ (ললিপপ) ও ১ জিবি র্যাম। ফোনটির কোয়াড-কোর ১.৩ গিগাহার্টজ করটেক্স-এ সেভেন সিপিইউ এর কারণে নতুন নতুন গেম খেলার পাশাপাশি অ্যাপস গুলোও ব্যবহার করা যায়। এর ২০০০ এমএএইচ/ লিয়ন ব্যাটারীটি সারাদিন ধরে ব্যাকআপ দিতে পারবে। ১২ হাজার ৯৯০ টাকার এই প্যাকেজটিতে রয়েছে হাই ডেফিনেশন এসঅ্যামোলেড ডিসপ্লে, এফ/২.২ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ একটি ক্যামেরা এবং অন্যান্য সব ফিচার। যা খুবই চমৎকার একটি প্যাকেজ।
সিম্পনি এক্সপ্লোরার পি৬ এ আছে ১ জিবি র্যাম, ৮ জিবি স্টোরেজ (৮জিবি রম যার ৫.৫৪ জিবি সংযুক্ত স্টোর হিসেবে ব্যবহৃত হয়),অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ভার্সন (ললিপপ) এবং ১.৩ গিগাহার্টজের কোয়াড-কোর প্রসেসর। ডিভাইসটিতে মেমোরী কার্ড ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ৩২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। মিডিয়াটেক এমটি৬৫৮২ এসওসি সমৃদ্ধ ফোনটিতে আছে মালি ৪০০ এমপি২ যা আপনাকে মসৃণ ভাবে খেলতে ও ভিডিও দেখতে সাহায্য করবে। ফোনটির ৫.৩ ইঞ্চির ডিসপ্লেটিকে দিনব্যাপি ব্যাকআপ দিতে এতে আছে ২৫০০ এমএএইচ লিয়ন ব্যাটারী। বাংলাদেশে হ্যান্ডসেটটির মূল্য ৯ হাজার ৯৯০ টাকা। ফোনটির ২জিবির এডিশনটি ১১ হাজার ১৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে ফোনটিতে ব্যবহারোপযোগী ইন্টারনাল স্টোরেজ খুবই সীমিত। কারণ ফোনটিতে আছে অনেকগুলো বিল্ট ইন অ্যাপস যদিও সব গ্রাহক এর সবগুলো অ্যাপস ব্যবহার করেন না।
গেইমস খেলার জন্য কোয়ালকম স্নাপড্রাগন ২০০ সম্পন্ন মাইক্রোসফট লুমিয়া ৫৪০ এ আছে কোয়াড কোর ১.২ গিগাহার্টজ এবং জিপিইউ আড্রেনো ৩০২। তবে এর ভিডিও প্লেয়ারটি সব ধরনের ভিডিও ফরম্যাট সমর্থন করেনা। আপনাকে সব ধরনের ভিডিও দেখতে হলে নতুন আরেকটি ভিডিও প্লেয়ার ব্যবহার করতে হবে। উইন্ডোজ ফোনটিতে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস এর কিছু কমন অ্যাপ্লিকেশন এখনো ব্যবহার করা যায় না যার কারনে আপনি অনেক কিছুই পাবেন না। ফোনটির রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইন। এর পিছনে ব্যবহার করা হয়েছে চকচকে পলিকার্বনেট কিন্তু এতে তাড়াতাড়ি হাতের ছাপ পড়ে যায়। যাদের স্মাজি ফোন নিয়ে সমস্যা আছে তাদের জন্য ব্ল্যাক কালারের ম্যাট ডিজাইন বাজারে পাওয়া যাবে। লুমিয়া ৫৪০ এর ২২০০ এমএএইচ ব্যাটারীটি একবার চার্জে টানা ১৯ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে পারে যখন অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলো ১০ থেকে ১১ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারী , সহজ ব্যবহারোপযোগী ও সুন্দর ডিজাইনের ফোনটি বাংলাদেশে ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
রায়
আমরা ফোন কেনার ক্ষেত্রে শার্প ও মসৃণ ডিসপ্লে, হাই ডেফিনেশন ছবি ও ভিডিও কোয়ালিটি এবং ব্যাটারীটি দীর্ঘস্থায়ী ও বিশ্বের পরিচিত ব্র্যন্ডগুলোকে প্রাধান্য দেই। ব্র্যান্ড, হাই ডেফিনিশন ডিসপ্লে ও পিকচার কোয়ালিটি ও অর্থ সাশ্রয়ের দিক থেকে স্যামসাং গ্যালাক্সি জে২ সব দিক থেকেই সেরা।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।