বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পাওয়ার পর বিএসএমএমইউর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তরে সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, বাংলাদেশ বেতারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়ে বিএসএমএমইউ সেখানে সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দেয়। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি এবং পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে কয়েকজন আহত হন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে এ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে শাহবাগ-বাংলামটর সড়কে যানজট লেগে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে বেলা দেড়টার দিকে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি স্থাপনা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ সব ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছে বিএসএমএমইউ। সমপ্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে বিএসএমএমইউ তার দায়িত্ব নেবে। এ সংক্রান্ত দু’টি সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে বিএসএমএমইউর কর্মচারীদের বাধা দেয় বেতারের কর্মচারীরা। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।’
বাংলাদেশ বেতারের সদর দফতরের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মনজেরুর রহমান বলেন, ‘বিএসএমএমইউকে বেতার কেন্দ্রটি সংরক্ষণের জন্য দেয়া হয়েছে, বিষয়টা আমরা জানি। আমরা এখান থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার পর তারা অবশ্যই দায়িত্ব নেবে। কিন্তু তারা কোনো প্রকার নোটিস ছাড়াই অতর্কিতভাবে এসে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখল নেয়ার চেষ্টা করছিল। এটা আমাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি। ফলে আমাদের কর্মচারীরা বাধা দিতে গেলে বিএসএমএমইউর কর্মচারীরা হামলা চালায়। এ সময় বেতারের কর্মচারী আব্দুল বারেক, আব্দুল জলিল, মুহাম্মদ ইসমাইল, ড্রাইভার লতিফ ও হান্নানসহ কয়েকজন আহত হন। তারা বেতার ফটকে ভাঙচুরও করে।’


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।