সাত খুন মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা চাইলেই অধিকতর তদন্ত: হাইকোর্ট

S M Ashraful Azom
0

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার অধিকতর তদন্তের বিষয়টি নির্ভর করছে তদন্তকারী কর্মকর্তার উপর। হাইকোর্ট বলেছে, কোনো মামলায় অভিযোগপত্র দেয়ার পর কারও বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলে তদন্ত কর্তৃপক্ষ ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে অধিকতর তদন্ত করতে পারে, সে অধিকার তাদের রয়েছে। অধিকতর তদন্ত বা অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই।
 
অধিকতর তদন্তের আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন।
 
আদেশে বলা হয়, এই মামলায় পরিকল্পনা মাফিক সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তার দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে দণ্ডবিধির ১২০বি ধারা যুক্ত করেনি। এই প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের দায়রা জজ বিচারিক মন প্রয়োগ করে দণ্ডবিধির ১২০বি ধারা যুক্ত করে বিচার করলে তাতে আইনগত কোনো বাধা থাকবে না।
 
সাত খুন মামলার বাদী নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানান। এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে বাদ দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করায় এই নারাজি আবেদন দেয়া হয়।
 
এর আগে দুই দফায় তার নারাজি আবেদন খারিজ করে দেয় নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ এবং ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। নিম্ন আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করেন বিউটি। হাইকোর্ট আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়ে বলেছে, নিম্ন আদালত নারাজি খারিজ করে যে আদেশ দিয়েছে তাতে হস্তক্ষেপ করার সন্তোষজনক কারণ দেখছি না।
 
আদেশের পর সেলিনা ইসলামের আইনজীবী মন্টু চন্দ্র ঘোষ বলেন, অধিকতর তদন্ত করতে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই। তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে তিনি অধিকতর তদন্ত করতে পারেন।
 
সেলিনা ইসলাম বলেন, এ হত্যায় যারা পরিকল্পনাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে চাই। এ জন্য নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিলে এ হত্যার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। কেন নূর হোসেন এই সাতজনকে হত্যা করে সাতটি পরিবারকে ধ্বংস করল, তা জাতির সামনে পরিষ্কার করা হোক?
 
গত বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়। অপহরণের পরদিন নিহতের পরিবারের সদস্যরা দুটি মামলা দায়ের করেন। পরে তা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। পরে মামলাটির তদন্তভার পরে ডিবি পুলিশের উপর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top