ফেব্রুয়ারি থেকেই ১১ ডিজিটের মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে মোবাইল অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে। মোবাইল অপারেটর পরিবর্তন (এমএনপি) পদ্ধতিকে অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রণালয় এ অনুমোদনের ফাইল ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এমএনপি কার্যকর করার জন্য দু'একদিনের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। গত অক্টোবরে এমএনপি ফাইলটি অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। বিটিআরসি জানায়, এমএনপি সুবিধা চালু করতে অপারেটর হিসেবে বিটিআরসি একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেবে।
এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুমোদন পাওয়া গেছে। অর্থমন্ত্রণালয়েরও অনুমোদন মিলেছে৷ শিগগিরই আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। উন্মুক্ত দরপত্রে দেশি-বিদেশি যে কোনো প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে। তিনি বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষ করে এমএনপি চালু হতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
এর আগে তারানা হালিম বলেছিলেন, এমএনপি চালু হলে মোবাইল অপারেটরগুলোর মধ্যে উন্নত মানের সেবা দেওয়ার প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। টেলিযোগাযোগ সেবার গুণগত মান অনেক বাড়বে। এমএনপি নীতিমালা অনুসারে নম্বর অপরিবর্তিত রেখে ৩০ টাকায় গ্রাহকরা এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে যেতে পারবেন। তবে পুনরায় অপারেটরে পরিবর্তন করতে চাইলে ৪০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। ৪০ দিন পর গ্রাহক আবারো নতুন অপারেটরে যেতে পারবেন বা আগের অপারেটরে ফেরত আসতে পারবেন।
উল্লেখ্য, এসএনপি চালু করতে ২০১৩ সালের জুন মাসে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছিল বিটিআররসি। নির্দেশনা জারির তিন মাসের মধ্যে অপারেটরদের এমএনপি সেবা শুরু করার জন্য একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করে প্রি- পেইড, পোস্ট পেইড উভয় ধরণের গ্রাহককেই এই সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু অপারেটরদের অনীহায় ও কারিগরি সীমাবদ্ধতায় সে উদ্যোগ কার্যকর হয়নি।পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও বিশ্বের ৭২টি দেশ বর্তমানে এমএনপি সুবিধা চালু রয়েছে।বর্তমানে বাজারে ৬ মোবাইল অপারেটরের ১৩ কোটির বেশি সিম চালু আছে।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।