
ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে পেসার সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হন স্বন্দীপ সুনার (৭)। পরের ওভারের প্রথম বলে পেসার মেহেদী হাসান রানার বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন জোগেন্দ্র সিং কারকি (১)। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলে নেপালের অধিনায়ক রাজু রিজাল ও সুনিল ধামালা। ৪৪ রান যোগ করেন তারা।
বিপজ্জনক হয়ে উঠা এ জুটি ভাঙে রান আউটে। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রোতে উইকেট রক্ষক জাকির হাসান স্ট্যাম্প তুলে সুনিল ধামালাকে (২৫) আউট করেন। চতু্র্থ উইকেটে রাজু রিজাল ও আরিফ শেখ বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন। ৫৭ বলে ৫১ রান যোগ করেন তারা। এ সময়ে রাজু রিজাল হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। দলীয় ১১৪ রানে এ জুটি ভাঙেন পেসার সাইফউদ্দিন। মিড উইকেটে আরিফ শেখের (২১) ক্যাচটি ধরেন জয়রাজ শেখ ইমন।
হাফসেঞ্চুরির পর দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন রাজু রিজাল। তাকে সঙ্গ দেন রাঝভির সিং। দুজনের ৩২ রানের জুটি ভেঙে যায় রান আউটে। রাজু রিজালকে যৌথভাবে রান আউট করেন শান্ত ও জাকির হাসান। ৮০ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৭২ রান করেন নেপালের অধিনায়ক। বাহাতি রাঝভির সিংকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি স্পিনার শাওণ। সুইপ করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ’র শিকার হন রাঝভির সিং (৯)।
আজকের ম্যাচে জিততে পারলে দারুণ একটি মাইলফলক ছোঁয়া হবে মেহেদি হাসান মিরাজের দলের। বলা চলে যুব বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশ দলের। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ২০০৬ সালের যুব বিশ্বকাপে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পঞ্চম হয়েছিল। সেটিই এখন পর্যন্ত টাইগার যুবাদের সেরা সাফল্য হয়ে আছে।