সেবা ডেস্ক: জ্ঞান অর্জন করা, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা লাভ করা, দুনিয়ার ভালো ও কল্যাণ বিষয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা অর্জন শিশুদের মৌলিক অধিকার। শিশুদের এ অধিকার প্রদানে সর্বোচ্চ আদর্শ স্থাপন করেছেন আমদের নবী (সা.)। একটি হাদিসে তিনি বলেছেন, ‘জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ’। এছাড়াও জ্ঞান অন্বেষণ করা সর্বোত্তম ইবাদত। আর এ ইবাদত চর্চার জীবনব্যাপী চলমান প্রক্রিয়ার সূচনা হয় শিশুকাল থেকেই। কেননা শিশুকালে লব্ধ জ্ঞান পাথরে খচিত রেখার মতোই, যা কখনো মুছে যায় না।একটি হাদিসে এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে একটি বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন:‘যে ব্যক্তি শিশুকালে কুরআন শিখল, কুরআন তার রক্তমাংসের সাথে মিশে গেল, আর যে ব্যক্তি বৃদ্ধ বয়সে কুরআন শিখল, আর কুরআন তার কাছ থেকে ছুটে যাওয়া সত্ত্বেও সে লেগে রইল, তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব’।-(দায়লামি, হাকেম)
হযরত লুকমান হাকিম একদিন তার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলেন: তোমার প্রজ্ঞা অর্জন কতদূর হল? উত্তরে তিনি বললেন: আমার জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আমি তাতে মাথা ঘামাই না।’ লুকমান হাকিম বললেন: হে আমার ছেলে! আরেকটি বিষয় বাকি আছে, আর তাহল, তুমি আলেমদের সাথে বসবে, ভিড় ঠেলে হলেও তাদের কাছে যাবে। কেননা আল্লাহ তাআলা হেকমত দ্বারা মৃত হৃদয়গুলোকে জীবিত করেন, যেমনি জীবিত করেন বৃষ্টি বর্ষণের মাধ্যমে মৃত জমিনকে।-( মুয়াত্তায়ে ইমাম মালেক: ২/১৬১) তিনি আরো বলেন: হে আমার সন্তান! তুমি তিনটি উদ্দেশ্যে ইলম তলব করো না। আর তিন কারণে ইলম তলব বন্ধ করো না –
অযাচিত ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়ার জন্য ইলম তলব করো না, ২. গর্ব করার উদ্দেশ্যে ইলম তলব করো না, ৩. লোক-দেখানোর উদ্দেশ্যে ইলম তলব করো না।
ইলম তলবে অনীহার কারণে ইলম তলব ছেড়ো না, ২. লোকলজ্জায় তুমি ইলম তলব ছেড়ো না, ৩. অজ্ঞ থাকার প্রতি রাজি হয়ে তুমি ইলম তলব ছেড়ো না।