সেবা ডেস্ক: কে এম হোসাইন : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, বিরোধী দলের সাথে আলাচনা করে ২০১৪ সালের নির্বাচন করলে গণতন্ত্রকে আরো টেকসই করা যেত। বিরোধী দলের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা নেওয়া হলে সরকারের গণতান্ত্রিক ধারা আরও পরিষ্কার থাকতো। কিন্তু সেটি এখন প্রশ্নবিদ্ধ।খালিদ মহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ‘স্বস্তি-অস্বস্তি’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি একথা বলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশ নেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
সংলাপের জন্য আবারও শেখ হাসিনাকেই ফোন করতে হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আহমেদ আযম খান বলেন, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের দায়িত্ব থাকে বিরোধী দলকে আত্মবিশ্বাসে ফিরিয়ে আনার। সেই সাথে সঠিক সুশাসনও কায়েম করার। আমরা শেখ হাসিনাকে অসংখ্যবার ফোন করে আহবান জানিয়েছি আলোচনার জন্য। আমরা এক সাথে আলোচনায় বসে সকল সমস্যা সমাধান করি। বেগম জিয়াও তো একটা ফোন করতে পারতেন সেটা কি তিনি করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, না সেটা বেগম জিয়া করেননি। তিনি ফোন করলে আর আলাচনার টেবিলে বসা হবে না। কারণ আলোচনার আহবানটা সবসময় ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকেই আসে। বেগম জিয়া আলোচনার আহবান করলে আর আলোচনা হতো না। দেশের সঙ্কটপূর্ণ সময় দূর করতে দেশের সরকার প্রধানই বিরোধী দলের সাথে আলোচনার আহবানটা জানাবে। তাহলে আয়োজনটা হবে। এর বাইরে বিরোধী দলের নেতা বা অন্য দলের নেতা বললে কিন্তু এই আয়োজনটা হবে না। এটাই বাস্তবতা, থিওরি বলেন বা প্রাকটিক্যালই বলেন।
২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা, ২০১৫ সালে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা এর জবাব কি দেবেন জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনটি সংবিধান সম্মত করতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে তিন মাস পেছনো যেতো। বিরোধী দলের সাথে আলাচনা করে গণতন্ত্রকে আরো টেকসই করতে আরও সহযোগিতা বিরোধী দলের কাছ থেকে নেওয়া যেত। তাহলে সরকারের গণতান্ত্রিক ধারা আরও পরিষ্কার থাকতো কিন্তু সেটি এখন প্রশ্নবিদ্ধ।