সেবা ডেস্ক: এস.এইচ.এম তরিকুল ইসলাম, রাজশাহী : বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ সর্বপ্রথম ডেসটিনি গ্রুপ শুরু করেছিল। এতোদিন এর ধারাবাহিকতা থাকলে শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ-ই নয়, উন্নত দেশে রুপান্তরিত হতো, শুধু বর্তমান সরকার উন্নত দেশ গঠনের স্বীকৃতি স্মারকটি নিয়ে আসতো। পৃথিবীর মধ্যে স্বল্প সময়ে উন্নত দেশ গঠনের কারিগর হিসেবে অন্য দেশ বা জাতী বাংলাদেশকে উদহরণ দেখাতো। কিন' একটি কু-চক্রি মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আজ ডেসটিনি গ্রুপের ৪৫ লক্ষ ডিস্ট্রিবিউটর একদিকে অর্ধাহারে অনাহারে ৪বছরের অধিক সময় ধরে দিনাতিপাত করছেন, অন্যদিকে বর্তমান জনবান্ধব সরকার ডিজিটাল ও উন্নত দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেতে বাধাগ্রস' হচ্ছেন, আর মজা লুটছেন সেই কু-চক্রী মহল। আর বিনা বিচারে এভাবে আর কতোদিন আটকে রাখা হবে দেশবাসী জানতে চায়। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী নগরীর সপ্নিল কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত রাজশাহী বিভাগীয় ঈদ পূনর্মিলনী ও ডেসটিনি সোশ্যাল মিডিয়া ফোরাম (ডিএসএমএফ) গ্রীন-এর ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন বক্তারা।ডিএসএমএফ-গ্রীন’র জেলা প্রতিনিধি মুঞ্জুর রহমান টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজিম উদ্দিন জুয়েল। বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজল কুমার সাহা, মো. রাজীব হোইন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. শরিফুল ইসলাম গাজী, ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেটর মো. শাহজাহান ও ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য মো. আরিফ হোসাইন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন সময়েই ডেসটিনির জন্ম হয়েছে। এ সরকারই মাল্টিলেভেল মার্কের্টে (এমএলএম) ব্যবসার নীতিমালা দিয়েছে। কিন' সেই কুচক্রী মহলের কারণে বিনা অপরাধে ৪৫ লক্ষ ডিস্টিবিউটর পরিবারের ৫ কোটি মানুষ আজ চোঁখে অন্ধকার দেখছে। তাই এ সমস্যা থেকে অতিদ্রুত পরিত্রান চায় মানুষ।
ডেসটিনির ব্যবস'াপনা পরিচালক রফিকুল আমীন বা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসাইন অপরাধী হয়ে থাকলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নায্য বিচার পাওয়ার অধিকার রাখে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, আজ পযর্ন্ত এই কোম্পানীর বিরুদ্ধে কোন বিনিয়োগকারী একটি মামলাও করেনি। কারণ, ডেসটিনির কর্ণধররা কোনদিন কোন অন্যায় বা প্রতারণা করেনি ভবিষ্যতেও করবেনা এটা বিনিয়োগকারীরা জানে, বুঝে এবং গভীরভাবে বিশ্বাস করে। যা এক দৃষ্টান্ত।
বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিরা বলেন, আমরা আমাদের টাকা ফেরৎ চাইনা, আমরা ডেসটিনির মাধ্যমে পরিশ্রম করে স্বাবলম্বী হতে চাই, ডিজিটাল ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অন্যমত সৈনিক হিসাবে নাম লেখাতে চাই, সরকারের স্বপ্ন পূরণ করে পৃথিবীতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স'াপন করতে চাই। সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল অনুষ্ঠান থেকে সুবিচার পাওয়ার মাধ্যমে ডেসটিনি গ্রুপের এমডি ও চেয়ারম্যানের আশু মুক্তি দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে মুঞ্জুর রহমান টুকুকে আহ্বায়ক ও মো. আবুল হোসেনকে সদস্য সচিব করে ডিএসএমএফ’র রাজশাহী বিভাগীয় আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। এসময় ৪৯ বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে ২৮জনের নাম ঘোষনা করা হয়। পরে ডেসটিনি সোশ্যাল মিডিয়া ফোরাম (ডিএসএমএফ) গ্রীন-এর ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা হয়। সংগঠনের জেলা প্রতিনিধি শাহজাহান আলী সাজুর উপস'াপনায় অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলার নের্তৃবৃন্দসহ প্রায় ১ হাজার ডিস্টিবিউটর উপসি'ত ছিলেন।