এম. সুরুজ্জামান, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামের মো: রহিম বাদশার ১ম মেয়ে মাজেদা খাতুন (২৫) কে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন কর্তৃক মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, বিগত ৫ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন একই গ্রামের মো: আনসার আলীর ছেলে খোরশেদ আলম মামাতো ভাইকে স্বামী হিসাবে গ্রহন করে সংসার শুরু করেন। এর মাঝে ২টি ছেলে সন্তানের জননী হয়ে যায় মাজেদা। গত ৮ অক্টোবর যৌতুকের জন্যে স্বামী, শ্বাশুরী ও তার ননদরা ৫ হাজার টাকা বাপের বাড়ী থেকে আনার জন্যে চাপ প্রয়োগ করেন। এর আগেও বাপের বাড়ী থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসাবে দেয়া হয়েছে তাকে। এর পরও স্ত্রীকে প্রায়ই মারধর ও নির্যাতন করে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাজেদা যৌতুকের টাকা আবার আনতে অস্বীকার করলে তার উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে ঘরের ভিতরে আটকে মারপিট করে স্বামী, শ্বাশুরী, ননদরা মিলে মাজেদার মাথার সৌন্দর্য চুল কেটে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন থেকে প্রভাবশালীরা দেন দরবার করবে বলে দিন ক্ষেপন করেন। অবশেষে গরীব অসহায় মাজেদার পিতা রহিম বাদশা মেয়েকে সাথে নিয়ে ২৪ অক্টাবর রাত ১০ টায় স্বামী খোরশেদ, শুশুর আনসার আলী, শ্বাশুরী উম্মে কুলসুম, ননদ নাজমা, নাছিমা ও নার্গিসকে আসামী করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।
অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ ৩ জনকে বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেন। এ ব্যাপারে ওসি মিজানূর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি মামলার তদন্তকারী আইও এস আই সারোয়ারের সাথে কথা বলেন। আইও সারোয়ার হোসেন জানান, গত ২৫ অক্টোবর নারী নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে মামলা নং ১৭ । ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছি তাদের কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে । এ বিষয়ে তার স্বামী খোরশেদ জানায় আমাদের দ্বারায় তার চুল কাটা, মারপিট ও নির্যাতন করা হয়নি।
অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ ৩ জনকে বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেন। এ ব্যাপারে ওসি মিজানূর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি মামলার তদন্তকারী আইও এস আই সারোয়ারের সাথে কথা বলেন। আইও সারোয়ার হোসেন জানান, গত ২৫ অক্টোবর নারী নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে মামলা নং ১৭ । ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছি তাদের কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে । এ বিষয়ে তার স্বামী খোরশেদ জানায় আমাদের দ্বারায় তার চুল কাটা, মারপিট ও নির্যাতন করা হয়নি।