
থাই চালের আমদানি নির্ভর করবে, প্রতিবছর উভয় দেশের উৎপাদন, পর্যায় এবং আন্তর্জাতিক মূল্য পর্যায়ের ওপর।
মঙ্গলবার ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে একথা বলা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম চার দিনের সফরে বর্তমানে থাইল্যান্ড অবস্থান করছেন। থাই বাণিজ্যমন্ত্রী মিজ অপিরাদি তানত্রাপর্ন-এর সঙ্গে ব্যাংককে তার অফিসে কামরুল ইসলামের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই সমঝোতা হয়। বৈঠকে মিজ অপিরাদি বলেন, 'থাইল্যান্ড দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশকে এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসাবে মনে করে।' এ সময় এডভোকেট কামরুল দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন হিসাবে ব্যাংককের তরফ থেকে আরো বাণিজ্য ছাড়ের আহ্বান জানান। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজ সাইদা মুনা তাসনিম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উন্নয়নশীল দেশ থেকে (এলডিসি) ৬৯৯৮টি পণ্যের 'ডিউটি-ফ্রি কোটা-ফ্রি' সুবিধা প্রদানের ব্যাপারে থাইল্যান্ডের ঘোষণার প্রশংসা করেন এডভোকেট কামরুল। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। তিনি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য ট্যারিফ কাঠামো আরো অনুকূলের পর্যালোচনা অব্যাহত রাখতে থাই মন্ত্রীকে প্রস্তাব দেন।
দুই মন্ত্রী এবছর পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ঢাকায় যৌথ বাণিজ্য কমিটির (জেটিসি) ৪র্থ বৈঠক অনুষ্ঠানের ব্যাপারেও সম্মত হন। ওই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং চালের ব্যবসা নিয়ে প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। -বাসস।