
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প বিভিন্ন সময় ভারতের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারত এমন একটি দেশ যারা উত্তরোত্তর অগ্রগতি করে চলেছে। তিনি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রচারণার সময় বেশ কয়েকবার ঘোষণা করেন। এমনই পরিস্থিতিতে ভারত চীন ও পাকিস্তানকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে চায়। তবে সবকিছুই নির্ভর করবে ট্রাম্প কীভাবে পুরো বিশ্বের সাথে তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান। এক্ষেত্রে কয়েকটি নির্ধারকের ওপর ভিত্তি করে নয়াদিল্লি সুযোগ লাভের দিকে এগিয়েও যেতে পারে। এদিকে চীন দেশটির প্রধান কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হলেও দেশটির প্রতি কোন নজর নেই এ নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তবে তিনি চীনের বিরুদ্ধে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে সঙ্গে নিয়ে জোট শক্তিশালী করতে চান। তার এ নীতি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটা সর্বজনবিদিত যে, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া খুব দ্রুত বৃহত্তর ক্ষমতায় আসীন হচ্ছে এবং বহুমেরুকরণ এশিয়ার নেতৃত্বে পৌঁছবে।
তাছাড়া প্রচারণাকালীন দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পুনঃভারসাম্য’ শুধু কাগজে-কলমে দেখে অনেকটা হতাশ হয় ভারত। তবে চীন ব্যবসায়িকভাবে যে মার্কিন সুবিধা পেয়ে থাকে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার অঙ্গীকার দিয়েছিলেন এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।