আজ হাসপাতাল ছাড়ছেন খাদিজা দোয়া চাইলেন সবার কাছে

Nuruzzaman Khan
সেবা ডেস্ক:  হুইল চেয়ারে করে আসেন খাদিজা, দুজন নার্স তাকে দুপাশ থেকে ধরলেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে অন্য একটি চেয়ারে বসেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি ভালো আছি, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যেন সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারি।
শনিবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের লবিতে সিলেটের আলোচিত কলেজছাত্রী খাদিজার সুস্থতার খবর জানানোর জন্য এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। এ সময় সাংবাদিকরা ‘কেমন আছেন’ প্রশ্ন করলে ভালো আছেন জানিয়ে বলেন, দেশবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সবাই আমাকে দোয়া করেছেন। আমার পাশে থেকেছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, খাদিজা এখন নিজে খেতে, পড়তে এবং কোনো কিছু ধরে হাঁটতে পারেন। সাংবাদিক সম্মেলনে খাদিজার পাশে ছিলেন বাবা মাসুক মিয়া, স্কয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্ভিস পরিচালক মির্জা নাজিম উদ্দিন, নিউরোলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ডা. এ এস রেজাউল সাত্তার, অর্থোপেডিক বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ডা. মেজবাউদ্দীন আহমেদ। মির্জা নাজিম উদ্দিন খাদিজার শারীরিক অবস্থার আদ্যোপান্ত তুলে ধরে বলেন, তিনি হাসপাতাল ছাড়বেন আজ রবিবার। এখন তার রিহ্যাব ফিজিওথেরাপি দরকার।
গত ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা বেগম। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত খাদিজাকে সিলেটে প্রাথমিক চিকিত্সার পর ৪ অক্টোবর উন্নত চিকিত্সার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রথম দিকে খাদিজাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তার জিসিএস ছিল মাত্র ৫। এক্ষেত্রে বাঁচার সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ। লাইফ সাপোর্ট দিয়ে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত ১৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়। ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত ছিল না। ৮ নভেম্বর সার্বিক অবস্থার উন্নতি হলে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। একজন সাধারণ মানুষের জিসিএস ১৫। এখন খাদিজার জিসিএসও ১৫ এবং তার বামপাশ অবশ। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেহেতু তার জেনারেল ও নিউরাল অবস্থা এখন ভালো, তাই তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। এখন ভালো কোথাও রিহ্যাব ফিজিওথেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top