
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত আটদিনে ডিএসইতে সার্বিক মূল্য সূচক বেড়েছে ১৪৭ পয়েন্ট। তাছাড়া বাজারে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানিরই শেয়ারদরও বেড়েছে এই সময়ে। তাই এখন কেউ কেউ মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে বাজারে কিছুটা দর সংশোধন হয়েছে। এ ধরনের প্রবণতাই বাজারের স্বাভাবিক গতি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে একটানা সূচক বাড়তে থাকলে পতনেরও আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই ধীরে ধীরে বাড়াই ভালো। এখন বাজারে সেভাবেই বাড়ছে সূচক।
এদিকে গত দুই মাস ধরেই বাজারে সার্বিক মূল্য সূচক ও লেনদেন বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারের বেশিরভাগ কোম্পানির হিসাব বছর এবার জুনে শেষ হয়েছে। এ কোম্পানিগুলো গত দুই মাস ধরেই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে অনেক কোম্পানি ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে। ফলে কোম্পানিগুলোর প্রতি শেয়ার বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। তাই গত দুই মাসে বাজারের সার্বিক মূল্য সূচক বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লভ্যাংশ ঘোষণার মৗসুমে সব সময়ই বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়ে যায়। এবারও তা হয়েছে।
তথ্যে দেখা গেছে, রবিবার ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর লেনদেন হয়েছে ৬১০ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যার পরিমাণ আগেরদিন ছিল ৬৫৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ডিএসইতে ৩২০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে, ১৫২টি কোম্পানির দর কমেছে এবং ৪০টি কোম্পানির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ডরিন পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির ২৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ২১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কাশেম ড্রাইসেল। লেনদেনে এরপর রয়েছে- এবি ব্যাংক, বেক্সিমকো, ফরচুন সুজ, কনফিডেন্স সিমেন্ট, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, ন্যাশনাল টিউবস ও সিএমসি কামাল।
এদিকে রবিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে। আর লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যার পরিমাণ আগেরদিন ছিল ৪২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।