নজির আহম্মদ লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : কমল নগরের মেঘনার ভাংঙ্গনে সর্বহারা হচ্ছে হাজারো পরিবার।গত কয়েক বছরে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গণে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিস্তৃর্ণ জনপদ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বশতবাড়ি, ফসলী জমি, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠিন ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স'াপনাসহ ৩৮ কিলোমিটার বেঁড়ি বাঁধ। নতুন করে ভাঙ্গণের মুখে পড়েছে কমলনগর উপজেলার লুধুয়া বাজার, পাটোয়ারীর হাট, সাহেবের হাট ও মাতাব্বরহাটসহ বিস্তৃর্ণ জনপদ।এসব এলাকার সিংহ ভাগই এখন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হুমকির মুখে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট ও সরকারী স'াপনাসহ কমলনগর উপজেলা পরিষদও।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলার প্রায় ৫৭ কি:মি: দীর্ঘ পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে বয়ে গেছে প্রমত্তা মেঘনা। গত কয়েক বছরে মেঘনার করাল গ্রাসে তলিয়ে গেছে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিস্তৃর্ন জনপদ। নতুন করে ভাঁঙ্গনের কবলে পড়েছে কমলনগর উপজেলার লুধুয়া বাজার, পাটোয়ারীর হাট, সাহেবের হাট, মাতাব্বরহাট, চরকালকিনি ও মতিরহাট এলাকাসহ বিস্তৃর্ণ জনপদ। গত কয়েক দিনে মেঘনার অস্বাভাবিক ভাঙ্গনে জায়গা-জমি ও সহায় সম্বল হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বিভিন্ন স'ানে মানবেতর জীবন-যাপন করছে ওই সব এলাকার হাজারো মানুষ। মেঘনার উত্তাল আঘাতে ইতোঃমধ্যে নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে কমলনগরের লুধুয়া ও সাহেবের হাটের প্রায় ১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক, শত শত বসতবাড়ী, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স'াপনা। হুমকির মুখে রয়েছে, হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারী স'াপনা।
স'ানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনে মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার ও তীব্র স্রোতের কারণে ভয়াবহ ভাঙ্গনের মুখে পড়েছেন তারা। ভাঙ্গণের কবলে পড়ে বশতভিটা ও জায়গা জমি হারিয়ে এখন তারা নিঃস্ব। মাথা গুজার ঠাই পর্যন্ত নেই তাদের। ভাঙ্গন অব্যহত থাকলে লক্ষ্মীপুরের মানচিত্র থেকে কমলনগর উপজেলা এক সময় বিলিন হয়ে যাবে। এ অবস'ায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভাঙ্গন কবলিত মানুষগুলোসহ স'ানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
নদী ভাংঙ্গন হাত থেকে বাঁচার উপায় বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী ইয়ার আলী বলেন মেঘনার ভাংঙ্গন রোধে কমল নগরের বাঁধ নিমার্ণ কাজ শুরু সব প্রস'ুতি শেষ পাযায় রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভাব নির্মাণ কাজ শুরু করবো।
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রয়োজনীয় বরাদ্ধের অভাবে কমলনগর উপজেলাকে নদী ভাঙ্গণ থেকে রক্ষায় কার্যকর প্রদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে নদী ভাঙ্গণ রোধে কার্যকর প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে।