
রুমেল পৌর ৬নং ওয়ার্ড বাঞ্চানগর এলাকার মৃত: এম ডি কবিরের ছেলে। সে কুমোদিনী ফার্মা লক্ষ্মীপুর জেলা এরিয়া ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিল। তার ২টি শিশু সন্তান রয়েছে।
রুমেলের স্ত্রী জানান, দুপুরের পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। সে মাদকাসক্ত ছিল, জুয়া খেলত, অনেক টাকা ঋণী ছিল। এখন আমার সন্তানদের কি হবে, কাকে তারা বাবা বলে ডাকবে, কোথায় তারা বাবাকে পাবে।
রুমেলের মা যানান, পলির নামে বসত বাড়ি দলিল করে দিতে হবে না হয় সন্তান ও রুমেলকে ছেড়ে সে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে সংসার করবে। এ বিষয়টি প্রায় রুমেল আমাকে বলত। এই বিষয় নিয়ে অনেক সময় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হত। রুমেল কখনো নিশা করত না, জুয়া খেলত না এবং তার মানসিক কোন সমস্যা ছিল না। আমার ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে পলি ও তার পরিবারের লোকজন। আমি তাদের বিচার দাবি করছি।
এলাকাবাসী ও রুমেলের বন্ধুরা মাদকাসক্ত, জুয়া ও মানসিক সমস্যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলে অভিযোগ করেন। এছাড়াও তারা পলির পরকিয়া প্রেমের কথা সাংবাদিকদের যানান।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল-মামুন ভুঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুমেল রোববার দুপুরের পরে কোন এক সময় বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।