‘ধর্ষণের আশঙ্কায় জন্মনিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে শরণার্থী নারীরা’

Nuruzzaman Khan
সেবা ডেস্ক:  যুদ্ধবিধ্বস্ত, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দারিদ্র্যের কারণে বিশ্বে শরণার্থীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এদের মধ্যে রয়েছেন নারীরাও। দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে তারা অনেক সময় শিকার হচ্ছেন ধর্ষণের। আর এরকম সম্ভাব্য আশঙ্কায় অনেক নারী শরণার্থীরা গ্রহণ করছেন জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও। বুধবার নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এমনটাই জানিয়েছে। 
 
নারী অধিকার ও মানবপাচার সংক্রান্ত বার্ষিক সম্মেলন ‌‌‘ট্রাস্ট ওমেন’-এ সংস্থাটির গবেষক হিরারি মারগোলিস বলেছেন, যেসব নারী ও কিশোরীরা বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার ভয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এমন পরিস্থিতির শিকার হতে পারে জেনেও তারা তাদের যাত্রা অব্যাহত রাখছে। 
 
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের সংখ্যা ছিল ৬৫.৩ মিলিয়ন যা গত পাঁচ বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে উন্নয়নশীল দেশেই রয়েছে ৮৬ শতাংশ শরণার্থী যার মধ্যে শুধু তুরস্কেই আছে ২.৭ মিলিয়নের বেশি সিরীয় শরণার্থী। চলতি বছরের শুরুতে ইউনিসেফ জানিয়েছে, ফ্রান্সের শরণার্থী শিবিরে শিশুরা ধর্ষণ, সন্ত্রাস ও জোরপূর্বক শ্রম দেয়ার মতো নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারীদের ক্ষেত্রে ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে যৌন দাবি মেটানোর বিষয়টি আসছে। এটা শুধু ফ্রান্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বলে জানিয়েছে প্রচারকর্মীরা। 
 
অ্যামিন্যাস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, শরণার্থী নারীরা জানিয়েছেন, লিবিয়া থেকে যাত্রা করার সময় তাদের যৌন সন্ত্রাসের শিকারের ভয়ে থাকতে হয়। ধর্ষণ সেখানে সাধারণ একটি বিষয়। এই ভয়ে যাত্রা শুরুর আগে তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণ করে যাতে অন্তঃসত্ত্বা না হয়ে পড়ে। 
 
মারগোলিস বলেছেন, তিনি ইতালিতে থাকা লিবিয়ার শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে তারা জানিয়েছে, ধর্ষণের ভয়ে বিপজ্জনক সমুদ্র যাত্রা শুরুর আগে জন্মনিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। 
 
মারগোলিস বলেন, পুরুষদের সঙ্গে যাত্রা করার ক্ষেত্রেও প্রতারণারও শিকার হন নারীরা। পাচার, শোষণ অথবা গৃহে নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীরা পুরুষদের সঙ্গে যাত্রার ক্ষেত্রে উদ্বিগ্ন থাকেন। খবর: রয়টার্স।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top