
জানা
গেছে, দোয়া মল্লিকপুর গ্রামের মৃত কুটি মিয়া মল্লিকের ছেলে আশরাফ মল্লিকের
লাশ আজ সকালে পৌরসভার সিরাজুল ইসলাম ছিরুর নির্মাণাধীন বাড়ির নিচতলায় পড়ে
থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুলুপাড়া
ফুটবল খেলা মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে চারজন বন্ধু মিলে গল্প করছিলাম।
এসময় হঠাৎ মোটরসাইকেলযোগে মাঠের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য প্রবেশ করলে আশরাফ
মল্লিক দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ এসময় তাকে দাবড়াতে থাকে। পুলিশ খালি হাতে
ফিরে যায়। শুক্রবার সকালে আশরাফের লাশ পাওয়া যায়। চরমল্লিকপুর গ্রামের
মুক্তিযোদ্ধা ফায়েক শেখকে মারপিট করা মামলার ২নং আসামি ছিলেন আশরাফ।
নিহতের আত্মীয় আলমগীর মল্লিক দাবি করেন, আশরাফকে গ্রামের প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। মল্লিকপুর
ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তাফা কামাল বলেন, পরিকল্পিতভাবে আশরাফকে হত্যা
করা হয়েছে এবং আশরাফের শরীরে মারপিটের দাগ রয়েছে।
লোহাগড়া
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাশের শরীরে কোন আঘাতের
চিহ্ন নেই। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আশরাফ
মল্লিকপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।