বকশীগঞ্জে উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চরম শিক্ষক সংকট

G M Fatiul Hafiz Babu

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু ঃ

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

ফলে শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। শিক্ষক চেয়ে বারবার আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা সংশিস্নষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক।

একারণে মান সম্মত শিক্ষা অর্জন নিয়ে হতাশায় রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকমহল।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৭ সালে বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

 পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিদ্যালয়টি ১৯৮৬ সালে সরকারিকরণ হয়।

সরকারি করণের পর থেকেই কারণে অকারণে শিক্ষক সংকট শুরু হয়েছে এই বিদ্যালয়ে। প্রতিবছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি পড়াশুনার মান। বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ,

 সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ সহ ১২ জনের  পদ থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৫ জন শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে।

সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে থেকেই একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়েছে। শিক্ষক সংকট থাকায়  ৮শ শিক্ষার্থীর চরম দুরবস্থা দেখা দিয়েছে। ৫ জন শিক্ষক দিয়ে ৮শ শিক্ষকের ক্লাস নেয়া অনেক কষ্টকর হয়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার কোন শিক্ষক নেই। গুরুত্বপূর্ণ গণিত বিষয় ও কম্পিউটার বিষয়েও কোন শিক্ষক নেই। মানবিক শাখার শিক্ষরাই কোনমতে ক্লাস নিয়ে দিন পার করছেন।

শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদানে হ-য-ব-র-ল সৃষ্টি হয়েছে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থায়।

বারবার শিক্ষক চেয়ে আবেদনের পরও কোন শিক্ষকের দেখা মিলছে না একমাত্র সরকারি নারী প্রতিষ্ঠানটিতে।

 এনিয়ে শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক

সুশীল চন্দ্র বর্ম্মন জানান, এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে বারবার বলা হলেও কার্যত কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

শিক্ষক বদলির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ) মো. আবু হাসান সিদ্দিক বলেন , মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষকে (মাউশি)

এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটের বিষয়টি অবহিত নতুন করে শিক্ষক চাওয়া হলে কর্তৃপক্ষ শিক্ষক না দিয়ে উল্টো প্রধান শিড়্গক ও দুই জন শিক্ষককে বিনা নোটিশে বদলি করেছেন।

যা মাউশির মহাপরিচালক (প্রশাসন) মহোদয়ের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 ফলে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান হুমকিতে রয়েছে বলেও যোগ করেন বকশীগঞ্জ আবু হাসান সিদ্দিক। 

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top