ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ
দক্ষিণাঞ্চলের লোনা পানিতে ওঠা সাদ্য সোনা বা গলদা চিংড়ি এখণ পরীক্ষামূলকভাবে কুড়িগ্রামে স্বাদু পানিতে চাষ উপযোগী করে সাফল্য অর্জন করেছে কুড়িগ্রাম সরকারী মৎস্য খামার।
চিংডিচাষ সমপ্রসারণ প্রকল্প-২য় পর্যায়ের আওতায় এই সফলতা দেখালের খামার ব্যবস্থাপক মুসা কালিমুল্লা। গত সোমবার দুপুরে মৎসচাষীদের কাছে পোনা (ডিভাইন) বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস খামার ব্যবস্থাপক মুসা কালিমুল্লা,
কুড়িগ্রাম সদরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উলিপুরের মৎস কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, টেকনিশিয়ান দেলোয়ার হোসেন দিলু, প্রেসক্লাবের সভাপতি মমিনুল ইসলাম মঞ্জু প্রমূখ।
এসময় পীরগাছার মৎস্যচাষী আব্দুল মামুনকে ৩৫ কেজি ও রাজারহাটের চাষী রিপনকে ১০কেজি পোনা সস্থান্তর করা হয়।
খামার ব্যবস্থাপক মুসা কলিমুল্লা জানান, ২০১৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সদর উপজেলা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে স্বাদু (মিঠা) পানিতে গলদা চিংড়ি চাষের উদ্যোগে নেয়া হয়।
এজন্য দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালি জেলার দুমকি এলাকা থেকৈ পায়ড়া নদীর মা গলদা চিংড়ি সংগ্রহ করা হয়। কক্সবাজার থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ট্রাকে করে লোনা পানি (ব্রাইন ওয়াটার) নিয়ে চিংড়ি হ্যাচারীতে হ্যাচিক শুরু করা হয।
গত আড়াই বছর ধরে নিবিড়ভাবে গবেষণার পর হ্যাচারীতে ৩৫দিন বয়সী ৪ থেকে ৫ লক্ষ রেণু বা পোস্ট লার্ভা জীবিত পাওয়া যায়।