গোলাপগঞ্জে ভূল চিকিৎসায় মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু।। এলাকাবাসীর মানববন্ধন

S M Ashraful Azom
Madrasa student death due to mischief in Golapganj Locals

রুবেল আহমদ, গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জে হাতুড়ে ডাক্তারের হাতে নিহত মাদ্রাসার ছাত্র ফুয়াদ আহমদ (১৩) এর ঘাতককে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উপজেলার বাগলা এলাকা। হাতুড়ে চিকিৎসক খালেদকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকায় একের পর এক চলছে বিভিন্ন কর্মসূচী। গতকাল শনিবার উপজেলার বাগলা বাজাওে বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। স্থানীয় বাগলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এলাকাবাসী এ বিশাল মানববন্ধনের আয়োজন করে।

আরও পড়ুনঃ শ্রীবরদীতে মেডিকেল অফিসারের দায়িত্বে অবহেলার কারণে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

দুপুরে মানববন্ধনের পর সভায় সভাপতিত্ব করেন এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি আতাউর রহমান।

হাফিজ রাসেল আহমদ ও আলী আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বাগলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আলী আহমদ, কুশিয়ারা পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ মুরাদ উল্লাহ বাহার, আতিকুর রহমান, মিজানুর রহমান মিজান, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সদস্য আলী হোসেন, জাকারিয়া আহমদ, নিহত ফুয়াদের পিতা খছরুল আলম, তার ছোট ভাই মুরাদ আহমদ ও সমাজসেবক মাহবুবুর রহমান নাছির প্রমূখ।


সভায় বক্তারা আগামী ২৪ঘন্টার মধ্যে হাতুড়ে ডাক্তার খালেদকে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কুশিয়ারা পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ মুরাদ উল্লাহ বাহার বলেন, আমরা খালেদকে গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এদিকে. মাদ্রাসার ছাত্র ফুয়াদ আহমদের মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উপজেলার গোটা বাগলা এলাকা। ভূয়া চিকিৎসক খালেদ হোসেনকে হত্যাকারী অখ্যায়িত করে তার ফাঁসি দাবি করেছেন এলাকার বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

আরও পড়ুনঃ সাপাহারে নার্স ও চিকিৎসকের অবহেলার কারণে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

মাদ্রাসার ছাত্র ফুয়াদ আহমদের মৃত্যুর পর গা-ঢাকা দিয়েছে ভূয়া চিকিৎসক খালেদ। বর্তমানে পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুজঁছে বলে জানা গেছে।

বাগলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়,  ভূয়া চিকিৎসক খালেদের হামিদ ফার্মেসী তালাবদ্ধ। আশপাশের কয়েকজন দোকানদার জানান, ভূল চিকিৎসায় মাদৃাসার ছাত্র ফুয়াদ আহমদের মৃত্যুর পর সে ফার্মেসী বন্ধ করে গা-ঢা দিয়েছে।


শনিবার নিহত ফুয়াদের বাড়ীতে গেলে দেখা যায় এক শোকাবহ পরিবেশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবারের লোকজনদের বিলাপ আর আহাজারিতে এলাকার আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে উঠছে। পুত্রের মৃত্যুর খবর পেয়ে সৌদি প্রবাসী পিতা খছরুল আলমও বাড়ীতে ছুটে এসেছেন। নিহত ফুয়াদের মা শেফালী বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথাই বলতে পারেনি। এসময় তিনি শুধু আহাজারি করে বলেন,” আমার ছেলেরে আনিয়া দেও, আমার ছেলের দোষ কি ছিল?, আমি ভূয়া ডাক্তারের ফাসি চাই” একথাগুলো বলেই তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে কিছুটা শান্ত হয়ে বলেন, আমি আমার ছেলে ফুয়াদকে ইনজেকশন পুশ করতে খালেদকে নিষেধ করি। কিন্ত সে আমার কথা শুনেনি। জোরপূর্বক ইনজেকশন পুশের পর আমার ছেলের মৃত্যু হয়। নিহত ফুয়াদের পিতা খছরুল আলম হাউমাউ করে কেদে বলেন, আমার ছেলেকে ইচ্ছাকৃতভাবে খালেদ ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। আমি খালেদের ফাঁসি চাই।

আরও পড়ুনঃ সাপাহারে ভন্ড কবিরাজের সাজানো অপহরণে একটি পরিবার সর্বশান্ত

অপরদিকে স্থানীয় বাগলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় নিহত ফুয়াদের স্বরণে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে। শনিবার সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে।

 -

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top