চার মাস ধরে অধ্যক্ষ নেই বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজে

Seba Hot News
চার মাস ধরে অধ্যক্ষ নেই বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজে
এস মাহমুদুল হাসান: 
চার মাস ধরে অধ্যক্ষ নেই জামালপুরের বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজে। ফলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে কলেজের প্রাশসনিক কার্যক্রম। এছাড়াও শুন্য রয়েছে আরো ছয়টি শিক্ষকের পদ।
জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে কলেজের অধ্যক্ষ পরিতোষ চন্দ্র দাস অবসর নেওয়ায় অধ্যক্ষ পদটি শূন্য হয়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।

বার বার চাহিদা দেওয়া সত্ত্বেও এই কলেজে নতুন অধ্যক্ষ দেওয়া হচ্ছে না। শুধু অধ্যক্ষের পদেই নয় শূন্য রয়েছে আরো ছয় টি শিক্ষকের পদ।
বর্তমানে কলেজের ২১ টি পদের মধ্যে শিক্ষক রয়েছে ১৪ জন। অধ্যক্ষ সহ সাত টি পদে শিক্ষক সংকট রয়েছে। বিশেষ করে বিজ্ঞান বিভাগে জীব বিজ্ঞান ছাড়া পদার্থ, রসায়ন ও গণিত বিভাগের কোন শিক্ষক নেই। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবস্থাপনা বিভাগে একজন , দর্শন বিভাগে একজন, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে একজন করে শিক্ষক শুন্য রয়েছে।

শিক্ষক সংকটের কারণে ক্লাসে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। একই সাথে অধ্যক্ষ না থাকায় কলেজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। অভিজ্ঞতা না থাকলেও বাধ্য হয়েই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাকে।

শিক্ষক সংকট ছাড়াও কলেজে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। যার কারণে কলেজের পড়াশুনার মানোন্নয়ন হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এই সাথে কলেজে পরীক্ষা ভবন না থাকায় আলাদা ভাবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে বছরের বেশির ভাগ সময় পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় শিক্ষকদের। শ্রেণি কক্ষে পরীক্ষা চলার কারণে পাঠদান করা সম্ভব হয় না শিক্ষার্থীদের ।

এছাড়াও কলেজের ছাত্রাবাস না থাকায় দূরদূরান্তের শিক্ষার্থীদের কষ্ট করে কলেজে আসতে হয়। শিক্ষকদের আবাসন সমস্যার কারণেও অনেক শিক্ষক বদিল হয়ে চলে যায় বলেও অভিযোগ।
নোংরা ও আবর্জনা বেষ্টিত ডরমেটরিতে থাকতে হয় শিক্ষকদের। অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের শূন্য পদ সহ বিভিন্ন কারণে কলেজে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
অবিলম্বে একজন অধ্যক্ষ ও শূন্যপদে শিক্ষকের পদ পূরণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

একই সঙ্গে এই কলেজটিতে অনার্স কোর্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুর দাবি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কলেজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষাবিদ,শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাকবৃন্দ।

এ  বিষয়ে বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা কলেজের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে অধ্যক্ষ চেয়ে আবেদন করলেও কোন সুরাহা হচ্ছে না। শিক্ষক সংকটের বিষয়টিও বার বারা জানানোর পরও শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top