সিরিয়ায় আবারো রাসায়নিক আক্রমণে ৭০ জন নিহত

Seba Hot News
সিরিয়ায় আবারো রাসায়নিক আক্রমণে ৭০ জন নিহত
সেবা ডেস্ক: - সিরিয়ার পূর্ব ঘুটার বিদ্রোহী অধ্যূষিত দৌমা শহরে বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাসের আক্রমণে আন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। উদ্ধারকর্মী এবং চিকিৎকদের বরাত দিয়ে এ খবর প্রচার করছে বিবিসি। তবে অন্য কোন সূত্র থেকে এর সত্যতা জানা যায়নি।

স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী সংস্থা 'হোয়াইট হেলমেট' একটি বেজমেন্টে মরদেহের ছবি সহ একটি টুইট করে। টুইটে বলা হয় যে মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিরিয়া সরকার রাসায়নিক হামলার এই অভিযোগকে "অতিরঞ্জন" বলে দাবী করেছে।

এর আগে করা এক টুইটে হোয়াইট হেলমেট দাবী করেছিল মৃতের সংখ্যা ১৫০ জন। পরে ঐ টুইটটি মুছে ফেলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে তারা সাম্প্রতিক আক্রমণ সম্পর্কে "খুবই পীড়াদায়ক" তথ্য পাচ্ছে। তারা আরও বলেছে রাসায়নিক হামলা ব্যবহার করা হয়ে থাকলে সিরিয়ার মিত্র হিসেবে যুদ্ধ করা রাশিয়াকে দায়ী করা উচিৎ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলেছে, "নিজেদের লোকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার ইতিহাস রয়েছে রাশিয়ার। অগণিত সিরিয়ানদের ওপর রাসায়নিক হামলা করার দায় নিতে হবে রাশিয়াকে।"
সরকার বিরোধী 'ঘুটা মিডিয়া সেন্টার' টুইট করেছে যে এক হাজারের বেশী মানুষ এই রাসায়নিক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তারা বলছে একটি পিপের মধ্যে করে হেলিকপ্টার থেকে ফেলা একটি বোমা ফেলা হয় সেখানে। ঐ পিপেতে বিষাক্ত রাসায়নিক সারিন ছিল বলে বলা হচ্ছে। পূর্ব ঘুটা অঞ্চলের একমাত্র বিদ্রোহী অধ্যূষিত শহর দৌমা বর্তমানে সরকারি বাহিনী অবরোধ করে রেখেছে।


সামাজিক মাধ্যমের ছবিতে প্রকাশিত হয়েছে দৌমার গ্যাস আক্রমণের চিত্র একাধিক চিকিৎসা সেবাদানকারী, পর্যবেক্ষক ও উদ্ধারকর্মীরা রাসায়নিক হামলার সত্যতা যাচাই করেছেন। তবে কতজন নিহত হয়েছেন ও ঠিক কি হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত জানা যাচ্ছে না। সিরিয়ার হাসপাতালের সাথে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা 'ইউনিয়ন অব মেডিক্যাল রিলিফ অর্গানাইজেশন্স' দামাস্কাস রুরাল স্পেশালিটি হাসপাতালের বরাত দিয়ে বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে যে ৭০ জন নিহত হয়েছেন।

একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন সরেজমিন অনুসন্ধান থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে অন্তত ১৮০ জন মারা গেছে। তবে ক্রমাগত বোমাবর্ষণের কারণে এই সংখ্যা নিশ্চিতভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠার পর সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা বলেছে এই প্রতিবেদন দৌমার দখল নেয়া জাইশ আল-ইসলাম বিদ্রোহীদের তৈরী।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, "জাইশ আল-ইসলাম সন্ত্রাসীরা পতনের মুখে আছে। তাই তাদের সমর্থিত সংবাদ মাধ্যমগুলো সিরিয়ান আরব সেনাবাহিনীর অভিযান থামানোর উদ্দেশ্যে গ্যাস আক্রমণের মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে।"


পূর্ব ঘুটার শেষ বিদ্রোহী অধ্যূষিত শহর দৌমা। রাশিয়া সমর্থিত সিরিয়ান সরকারি সেনাবাহিনী ঘেরাও করে আছে শহরটি।
বিদ্রোহীদের সাথে মস্কোর একটি আলোচনা বিফল হলে শুক্রবার থেকে তীব্র মাত্রার অভিযান শুরু হয় সেখানে।
আলোচনা বিফল হওয়ার আগে জাইশ আল-ইসলাম তাদের সদস্যদের দৌমার নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে রাখার জন্য প্রস্তাব করেছিল। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নামের পর্যবেক্ষক দল বলেছে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় শুক্রবার ৪০ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিগত হয়েছেন। শনিবার নিহত হয়েছেন আরো ৩০ জন।

সিরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম বলেছে বিদ্রোহীদের বোমাবর্ষণে রাজধানী দামেস্কে ৬ জন নিহত হয়েছে ও ৩৮ জন আহত হয়েছে। জাইশ আল-ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া অভিযানে অন্তত ১৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে আর আহত হয়েছে হাজারেরও বেশী।

সূত্র: বিবিসি বাংলা


ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top