শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি: বাঁশখালীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে দীর্ঘ ৮ বছর গড়ালো। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন ছিলো কখন বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস চালু হবে? দীর্ঘ সময় গড়িয়ে অবশেষে বাশঁখালী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে অচিরেই ।
ইতিমধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সকল প্রকার মালামাল নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সোমেন বড়ুয়া। তিনি বলেন- "বাশঁখালী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় মালামাল প্রায় নিয়ে আসা হয়েছে ,সব মালামাল আনার পর আনুষ্টানিক ভাবে উদ্ভোধনের মাধ্যমে কার্যক্রম শিগ্রই শুরু হবে।"
ইতিমধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সকল প্রকার মালামাল নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সোমেন বড়ুয়া। তিনি বলেন- "বাশঁখালী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় মালামাল প্রায় নিয়ে আসা হয়েছে ,সব মালামাল আনার পর আনুষ্টানিক ভাবে উদ্ভোধনের মাধ্যমে কার্যক্রম শিগ্রই শুরু হবে।"
এদিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জলদী দারোগা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ২০১০ সালের মার্চ থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ সময় পর ভবন নির্মান কাজ শেষ হলেও অলস পড়ে ছিল ভবনটি । কার্যক্রমহীন অলস পড়ে থাকা ভবনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছড়িয়ে পড়লে জনমনে নানা শংকা দূরীভূত হয়। এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন- "বাঁশখালীবাসীর মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার দারোগা বাজার এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের ভবন নির্মান ও কাজ সমাপ্তি করেছে । এর কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সাধারন জনগন নানা ভাবে সুফল পাবে।"
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম চালুর ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও পানি সম্পদ সর্ম্পকীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এম.পি বলেন- "আওয়ামীলীগ সরকার জনগনের জীবন যাত্রার কথা চিন্তা করে সকল কাজ বাস্তবায়ন করে । তারই অংশ হিসাবে বাশঁখালী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে সাধারন জনগনের কোন জিনিস আগের মত পুড়েঁ ছাই হতে হবে না আর । এখন থেকেই বাঁশখালীবাসী ২৪ ঘন্টাই ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা পাবে।"
বাঁশখালীতে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ফায়ার সার্ভিসের নির্মাণ কাজ শেষ হলে ও এখনো পযর্ন্ত কোন কার্যক্রম চালু না থাকায় চলতি বছরে বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া বশিরউল্লাহ মিয়াজী বাজার, পুইছুড়ি প্রেম বাজার, নাপোড়া বাজার, ছনুয়া মনুমিয়াজীর বাজার, শেখেরখীল মৌলভী বাজার, চাম্বল বাজার, মনকিচর জালিয়াখালী নতুন বাজার, বড়ঘোনা সকাল বাজার, গন্ডামারা বাজার, টাইমবাজার, উপজেলা সদর পৌরসভা, মিয়ার বাজার, সরল বাজার, বৈলছড়ি কেবি বাজার, কাথরিয়া বাজার, কালীপুর রামদাস মুন্সীর হাট, গুনাগরি চৌমুহনী, জলদী হারুন বাজার, সাহেবের হাট, বাণীগ্রাম বাজার, চৌধুরী হাট, খানখানাবাদ বাজার,পুকুরিয়া চৌমুহনী সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টান ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিগত বছর গুলোতে ভয়াবাহ অগ্নিকান্ডের ফলে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার মালামালসহ দোকানপাট ও ব্যাণিজ্য কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্টান পুড়ে ছাই হয়ে গেলে ও মৌখিক সহানুভূতি ছাড়া কতৃর্পক্ষ বা জনপ্রতিনিধিদের আর কোন ভূমিকা ছিলনা।
আরও পড়ুন>>Green Chemistry & Green Engineering শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
অনেকের জিবন-জিবীকার একমাত্র সহায়সম্বল ব্যবসায়িক প্রতিষ্টানের সব পুড়ে ছাই হওয়ার সাথে সাথে শেষ হয়েছে কর্মসংস্থানের একমাত্র অবলম্বন। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাসাবাড়িতে অনাখাংকিত অগ্নিকান্ডে সব পুড়ে ছাই হয়েছে। অনেকের জীবন গেছে বদ্ধ ঘরে শ্বাসরোধ হয়ে। বাঁশখালীতে প্রতিনিয়ত সংঘটিত অগ্নিকান্ড গুলো সাধারণ জনগণের নীরব দর্শকের মত চেয়ে থাকা ছাড়া তাদের আর কিছুই করার থাকে না। পার্শ্ববর্তী উপজেলা পেকুয়া অথবা সাতকানিয়া থেকে বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের এখানে এনে অগ্নিকান্ড নিবারণের কার্যক্রম চালাতে গেলেও ২-৩ ঘন্টা সময় চলে যায়। ফলে অগ্নিকান্ডে সর্বস্ব পুড়ে নিঃস্ব হয়ে যায় জনসাধারণ।
অনেকের জিবন-জিবীকার একমাত্র সহায়সম্বল ব্যবসায়িক প্রতিষ্টানের সব পুড়ে ছাই হওয়ার সাথে সাথে শেষ হয়েছে কর্মসংস্থানের একমাত্র অবলম্বন। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাসাবাড়িতে অনাখাংকিত অগ্নিকান্ডে সব পুড়ে ছাই হয়েছে। অনেকের জীবন গেছে বদ্ধ ঘরে শ্বাসরোধ হয়ে। বাঁশখালীতে প্রতিনিয়ত সংঘটিত অগ্নিকান্ড গুলো সাধারণ জনগণের নীরব দর্শকের মত চেয়ে থাকা ছাড়া তাদের আর কিছুই করার থাকে না। পার্শ্ববর্তী উপজেলা পেকুয়া অথবা সাতকানিয়া থেকে বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের এখানে এনে অগ্নিকান্ড নিবারণের কার্যক্রম চালাতে গেলেও ২-৩ ঘন্টা সময় চলে যায়। ফলে অগ্নিকান্ডে সর্বস্ব পুড়ে নিঃস্ব হয়ে যায় জনসাধারণ।