রকি সাহা: শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে চলছে প্রাইভেট ভাড়া বানিজ্য। চালক প্রদীপ চন্দ্রের অসুস্থতার অজুহাতে বদলি চালক হিসেবে গাড়ি চালাচ্ছেন তার পিতা শঙ্কর চন্দ্র। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অসুস্থতার অজুহাত দেখালেও এর অন্তরালে রয়েছে রমরমা প্রাইভেট ভাড়া বানিজ্য সিন্ডিকেট।
জানা যায় শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহু বছর চাকুরি শেষে অবসরে যাওয়া চালক শঙ্কর চন্দ্রের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে তার পুত্র প্রদীপ চন্দ্র। দীর্ঘদিন চাকুরির সুবাদে নিজের পরিচিত বলয়ে প্রাইভেট ভাড়া সিন্ডিকেট ধরে রাখতে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত পুত্রকে তদবির করে শাহরাস্তিতে নিয়ে এসেছেন তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম হতে প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী আনা নেয়ায় তিনি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সে ও রেন্ট এ কারের ভাড়া। কর্তৃপক্ষকে সরকারি হাসপাতালের রোগী দেখিয়ে সরকার নির্ধারিত সামান্য ভাড়া পরিশোধের পর নিজে হাতিয়ে নিচ্ছেন বকশিসসহ মোটা অংকের উৎকোচ। সরেজমিনে গত সোমবার এই সেবা হট নিউজের প্রতিনিধির ক্যামেরায় ধরা পড়ে প্রাইভেট ভাড়ার চিত্র। বেলা ১ টা ৩০ মিনিটে শাহরাস্তির একটি প্রাইভেট হাসপাতাল হতে কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজে রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপি’র বিজয়পুর গ্রামের শহীদুল্লাহকে নিয়ে যান।
রোগীর পরিবার সূত্র জানায়, এজন্য সরকার নির্ধারিত ভাড়া হতে ৪ শত টাকা বেশি দিতে হয়েছে। এ বিষয়ে চালক প্রদীপ চন্দ্র জানান, আমি গতকাল গাড়ি চালিয়েছি, অসুস্থতার কারণে আমার বাবা কুমিল্লায় ভাড়া নিয়ে গেছেন।
এদিকে স্থানীয় প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সের চালকদের সাথে যোগসাজসে গভীর রাতে আসা রোগীদের প্রয়োজনের সময় গাড়ি বন্ধ রাখেন চালক। সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ফেরুয়া গ্রামের মৃতঃ ইসমাইল হোসেনের পুত্র মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, আমি গত ২১ মার্চ রাত ৩ টায় আমার স্ট্রোক করা পিতাকে কুমিল্লা নিতে অনেক কাকুতি মিনতি করার পরও রাজি হন নি ড্রাইভারের বাবা শঙ্কর চন্দ্র। দেড় ঘন্টা পর প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স ঠিক করলেও আমার পিতাকে বাঁচাতে পারি নি।
এ বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মানিক লাল মজুমদার মুঠোফোনে জানান, প্রদীপের অসুস্থতার কারণে সিভিল সার্জনের অনুমতি নিয়ে শঙ্করকে গাড়ি চালাতে দিয়েছি। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে প্রাইভেট ভাড়া নেয়ার কোন নিয়ম নেই।
চালক প্রদীপের অসুস্থতাজনিত বদলি চালক শঙ্করের অবসরকালিন সময়ে গাড়ি চালিয়ে সেবা দেয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে প্রশংসনীয় হলেও এতে কপাল খুলেছে প্রাইভেট ভাড়া বানিজ্য সিন্ডিকেটের। এ বিষয়ে প্রসাশন এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার ভুক্তভোগীরা।
এদিকে স্থানীয় প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সের চালকদের সাথে যোগসাজসে গভীর রাতে আসা রোগীদের প্রয়োজনের সময় গাড়ি বন্ধ রাখেন চালক। সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ফেরুয়া গ্রামের মৃতঃ ইসমাইল হোসেনের পুত্র মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, আমি গত ২১ মার্চ রাত ৩ টায় আমার স্ট্রোক করা পিতাকে কুমিল্লা নিতে অনেক কাকুতি মিনতি করার পরও রাজি হন নি ড্রাইভারের বাবা শঙ্কর চন্দ্র। দেড় ঘন্টা পর প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স ঠিক করলেও আমার পিতাকে বাঁচাতে পারি নি।
এ বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মানিক লাল মজুমদার মুঠোফোনে জানান, প্রদীপের অসুস্থতার কারণে সিভিল সার্জনের অনুমতি নিয়ে শঙ্করকে গাড়ি চালাতে দিয়েছি। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে প্রাইভেট ভাড়া নেয়ার কোন নিয়ম নেই।
চালক প্রদীপের অসুস্থতাজনিত বদলি চালক শঙ্করের অবসরকালিন সময়ে গাড়ি চালিয়ে সেবা দেয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে প্রশংসনীয় হলেও এতে কপাল খুলেছে প্রাইভেট ভাড়া বানিজ্য সিন্ডিকেটের। এ বিষয়ে প্রসাশন এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার ভুক্তভোগীরা।