ঈদের পর কঠোর আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়ার অসম্মতি

S M Ashraful Azom
ঈদের পর কঠোর আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়ার অসম্মতি

সেবা ডেস্ক: রমজান মাসের পূর্ব হতে বিএনপির নেতাদের বলতে শোনা যাচ্ছে ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নেত্রী ও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবেন তারা। এ বছরের গত ৮ই ফেব্রুয়ারির পর হতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং ও সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশী কূটনীতিকদের কাছে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে তারা। কিন্তু কোনোভাবেই আন্দোলনে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে পারেনি। এক্ষেত্রে জনগণ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। দুর্নীতিবাজ নেত্রীকে জেল থেকে মুক্তি করার জন্যে কোন আগ্রহ দেখায়নি জনগণ। এতে বিএনপি আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়ে।


খালেদার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা চলমান থাকায় এবং এতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় সহজে মুক্তিও মিলছেনা তার। এমন যখন দলের পরিস্থিতি তখন দলটির সিনিয়র নেতারা ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদাকে মুক্ত করতে সচেষ্ট হয়। রমজান মাসজুড়ে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে ঈদের পরে রাজপথে নামবার জন্যে প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারিও দেয়।

কিন্তু বিএনপির এমন পরিকল্পনায় খোদ দলীয় প্রধানই নাখোশ। তিনি মনে করছেন কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তার কারামুক্তির সুরাহা হবেনা। তিনি চাইছেন প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বিদেশে চলে যেতে।

ঈদের দিন দুপুরে বেগম জিয়ার ২০ জন আত্মীয় নাজিমউদ্দিন রোডে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। শামীম ইস্কান্দারের নেতৃত্বে আত্মীয়রা কারাগারে প্রবেশ করেন। তাঁরা দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় কারা অভ্যন্তরে বেগম জিয়ার সঙ্গে সময় কাটান। কারাগারে দলের পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করে দেন খালেদা। কোনোভাবেই যেন ধ্বংসাত্মক আন্দোলনে বিএনপি না যায় সে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি, জানা যায় বিএনপির বিশ্বস্ত সূত্র থেকে।

আর অন্যদিকে তারেকের সাথে দলের পরবর্তী করণীয় নিয়ে মির্জা ফখরুল লন্ডন থেকে নির্দেশনা নিয়ে এসেছেন। তারেক ফখরুলকে হার্ডলাইনে যাবার জন্যে প্রণোদনা দিয়েছেন। তারেক ও খালেদা দুইরকম নির্দেশনা প্রদান করায় কার নেতৃত্ব মেনে নিয়ে বিএনপি সামনে এগোবে তা ভবিষ্যতই বলে দেবে।




#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top