
সেবা ডেস্ক: কলকাতার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেমা স্টাডিজের অধ্যাপিকা ইরা। তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেন, ভারতীয় সিনেমায় সেক্সুয়ালিটি কোন বিষয়বস্তু নয়। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় যে, তা কিছুটা হলেও আলাদা। যদিও বিগত কয়েক বছরে এক্ষেত্রে অনেকটাই বদল সামনে এসেছে। সিনেমায় যৌনতা ও উত্তেজক বিষয়বস্তু নিয়ে ধ্যানধারনা বদলেছে। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত মিশ্র।
তিনি আরও জানান, এর আগে নারীদের আশা-আকাঙ্খা তুলে ধরার জন্য সিনেমায় গানের সাহায্য বেশি নেওয়া হত। এরমধ্যেই অনেক কিছুই থাকত, যেগুলি সাধারণত ক্যামেরায় দেখানো সম্ভব হতো না।
‘ভীরে দি ওয়াডিং’ মুক্তি পাওয়ার পর নানা রকম মন্তব্যে চড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া। এক ব্যক্তি স্বরাকে টুইটে জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ঠাকুমাকে নিয়ে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলেন। দৃশ্যটি আসামাত্র বিড়ম্বনায় পড়েন বর্ষীয়ান মহিলা। পরে বেরিয়ে তিনি জানান, একজন ভারতীয় নারী হিসেবে তিনি খুবই লজ্জিত।
এরপর থেকেই নানা সমালোচনার আক্রমণ ধেয়ে আসে অভিনেত্রী স্বরার দিকে। এর আগে স্বরাকে নিয়ে কিছু কটাক্ষও হয়েছে। কেউ বলেছেন, এই প্রথম স্বরাকে কোনও ধনী নারীর চরিত্রে দেখা গেল। কিন্তু সে তো নিরামিষ রসিকতা।
সব ছাপিয়ে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে স্বরার হস্তমৈথুনের দৃশ্যটি। কেউ কেউ এর বিরুদ্ধে চলে যান। প্রশ্ন তোলেন, এরকম একটা দৃশ্য থাকার কি প্রয়োজনীয়তা? পালটা যুক্তি দেখিয়ে কেউ কেউ বলেন, এরকম গোঁড়া সংস্কারী মনোভাব নিয়ে এ ছবি দেখতে যাওয়ারই বা দরকারটা কী?
‘ভীরে দি ওয়াডিং’ দিয়ে বলিপাড়ার কাচের দেওয়াল ভাঙছে। এতোদিন ছেলেদের বন্ধুতা নিয়ে একাধিক ছবি তৈরি হয়েছে বলিপাড়ায়। ‘দিল চাহতা হ্যায়’ বা ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’-র মতো ছবি মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের।
কিন্তু সে তুলনায় নারীদের বন্ধুত্বের কথা তেমনভাবে উঠে আসেনি। ছক ভেঙে সেই কাজটিই করেছে ‘বীরে দি ওয়েডিং’। যে ছবি নিয়ে নাক সিঁটকাচ্ছে বেশির ভাগ মানুষটি। নারীদের নিজস্ব পৃথিবীকে অন্তরালেই রাখতে চাইছেন তাঁরা।