সেবা ডেস্ক: মঙ্গলবারের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে বানচাল করতে সকল ধরনের নাশকতা ও বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সারাদেশ থেকে দলীয় সন্ত্রাসী ও দাগি আসামীদের নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে এমন কুপরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করছে বলে জানতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিএনপির ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের এই সঠিক ও সত্য অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মিথ্যাচার করছেন। পুলিশ বাহিনীকে ভোটের অন্তরায় বলেও গুজব ছড়াচ্ছেন তিনি। দলীয় সন্ত্রাসীদের রক্ষা করতে পুলিশ বাহিনীর উপর কালিমা লেপন করার চেষ্টা করছেন রিজভী আহমেদ।
পুলিশ ও একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের শক্তি দেখাতে বিশৃঙ্খলা ও গোলযোগ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিএনপি। গোলযোগের নেতৃত্ব দিবেন বিএনপি পদপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। ষড়যন্ত্র সফল করার জন্য তারা গোপনে একাধিক বৈঠক করেছেন। এবারের গাজীপুর নির্বাচনে ব্যতিক্রমী বিশৃঙ্খলার উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। ছাত্রদল, যুবদল নেতা-কর্মীরা ভোটের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে দেশীয় অস্ত্র, হাতবোমা, লাঠি নিয়ে অবস্থান করবে। সাধারণ ভোটারদের মারধর করে, হুমকি দিয়ে ভোট আদায়ের চেষ্টা করবে তারা।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রুখে দেওয়ার জন্য প্লান বি হাতে রয়েছে তাদের। একদল ভোট চুরি করবে, অন্যদল পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে তাদের ব্যস্ত রাখবে। এছাড়া মূল দলের সিনিয়র নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য হুমকি দিবেন। এছাড়া হাসান উদ্দিনের নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে ভোট কিনবে। কেউ রাজি না হলে শায়েস্তা করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে গাজীপুর এসপি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে হাসান উদ্দিন সরকার ও বিএনপির নাশকতার বিষয়ে একাধিক তথ্য পেয়েছি। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন করা আমাদের কর্তব্য। আমরা চাই সিটি নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়। আমরা সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াতের ভাড়া করা সন্ত্রাসী ও দাগি আসামীদের গ্রেফতার করেছি। পরিবেশ সুন্দর রাখতে আমাদের এই অভিযান চলবে। রিজভী আহমেদের দাবি সঠিক নয়। পুলিশ একজনও নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে না।
-
