রাজশাহী সিটি নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে নগরীজুড়ে। নির্বাচনের জনসংযোগ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মেয়র প্রার্থীরা ।
প্রচারণায় এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম এ এইচ এম কামারুজ্জামানের পুত্র। খায়রুজ্জামান লিটন ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মেয়র থাকাকালে রাজশাহী নগরীর যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছে তা এখনো দৃশ্যমান। আর তাই জনগণের মুখে মুখে লিটনের প্রশংসার জোয়ার বইছে।
রাজশাহী সিটির ৩০টি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীরা লিটনকে সমর্থন জানিয়ে তার পক্ষে প্রচারে নেমেছে, এমনকি দলীয় কোন্দলের জেরে কিছু বিএনপি কাউন্সিলর প্রার্থীও লিটনকে সমর্থন করছে। লিটন একজন সৎ, চরিত্রবান এবং রাজশাহীর উন্নয়নে সচেষ্ট বলেই কাউন্সিলর প্রার্থীদের এ সমর্থন। যা জয়ী হতে বিশাল ভূমিকা রাখবে নির্বাচনে। কেননা সিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, একজন মেয়রের পক্ষে এত কম সময়ে সকল ওয়ার্ডে ঘরে ঘরে সবার কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না।
কাউন্সিলর প্রার্থীরা ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের প্রচারণা চালায়। কাউন্সিলর প্রার্থীরা ওয়ার্ডের প্রায় মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় থাকার কারণে তাঁদের প্রচারণা নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী সহ অন্যান্য প্রার্থীরা লিটনের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তাই রাসিক নির্বাচনে লিটনের জয়ী হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
অন্যদিকে বিপাকে আছে বিএনপি মেয়র প্রার্থী বুলবুল। দল থেকে পাওয়া ৭ কোটি টাকা প্রচারে খরচ না করে আত্মসাৎ করায় ক্ষিপ্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। তার নামে হত্যা মামলা সহ ১২ টি মামলা থাকায় তাকে সমর্থন জানাতে নারাজ দলের কাউসিলার প্রার্থীরা।
এদিকে গতবারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় বুলবুলের ওপর ক্ষিপ্ত সমগ্র রাজশাহীবাসী। তাকে কোনোভাবেই আর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নগরপিতার রূপে দেখতে চায়না সাধারণ মানুষ ।