সেবা ডেস্ক: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই শুরু হয়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। এবারের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সফল মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। লিটন নির্বাচনী আচরণবিধি মানে গঠনমূলক নির্বাচনী প্রচার চালালেও উল্টো চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে বুলবুলের নির্বাচনী প্রচারণায়।
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নিজের গঠনমূলক প্রচারণার চেয়ে বিভিন্ন রকম অপপ্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন তিনিসহ তার কর্মীসমর্থকরা। বুলবুল তার অপপ্রচারের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকান্ডকে বিভিন্ন ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার বুলবুলের অপপ্রচারের শিকার হচ্ছে ফেরেশতারূপী কোমলমতি শিশুরা।
সূত্রে জানা যায়, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালানোর সময় শিশুদের ব্যবহার করে সাধারণ জনগণের সিমপ্যাথি আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কোমলমতি শিশুদের কোলে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। যদিও অনেকে অভিযোগ করে বলেন শিশুদের কোলে নেয়ার ব্যাপারটি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের লোক দেখানো নাটক।
তিনি এখন শিশুদের প্রতি লোক দেখানো ভালোবাসা দেখালেও গত ৫ বছর মেয়র থাকাকালীন সময়ে শিশুদের কল্যাণে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এমনকি নগরবাসীর অনেকদিনের প্রাণের দাবি নগরীতে শিশুদের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনেরও কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
এদিকে নগরীর বিশিষ্ট কয়েকজন নাগরিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, মিডিয়া কাভারেজের জন্য ও ভোটারদের সিমপ্যাথি আদায় করার জন্য বেশিরভাগ এলাকার শিশুদের কোলে তুলে নেয়া কিংবা আদর করার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করার সুযোগ করে দিচ্ছেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
এই কৌশল মিজানুর রহমান মিনু শিখিয়ে দিচ্ছেন বুলবুলকে এবং ক্যামেরাম্যানদের ডেকে ছবি তুলতে বলছেন মিনু।
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল কোলে নিয়ে ছবি তুলেছেন এমন কয়েকজন শিশুর অভিভাবক জানান, শিশুকে কোলে নেয়ার সময় এবং ছবি তোলার সময় বুলবুলের যে হাসিমাখা মুখ দেখা যায় পরবর্তীতে ছবি তোলা শেষে শিশুদের ফিরিয়ে দেয়ার সময় ওই হাসি আর পরিলক্ষিত হয়না।
এদিকে কোমলমতি শিশুদের এমন নির্বাচনী প্রচারের টার্গেট করাতে নিন্দা জানিয়েছেন নগরীর নারী ও শিশু অধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন নেতারা।