রাসিক নির্বাচনে বুলবুলের খরচের উৎস নিয়ে জনমনে প্রশ্ন

S M Ashraful Azom
রাসিক নির্বাচনে বুলবুলের খরচের উৎস নিয়ে জনমনে প্রশ্ন
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল

সেবা ডেস্ক: রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের নির্বাচনী প্রচারণায় অস্বাভাবিক খরচ দেখে সাধারণ জনমনে প্রশ্নের সঞ্চার হয়েছে। এমনকি তার টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজশাহী বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ।

বিশেষ সূত্র জানায়, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বিএনপির প্রার্থী হবার পর প্রতিদিন দু’হাত খুলে প্রচার কাজে টাকা ব্যয় করছেন। প্রচার শুরুর প্রথম দু’দিনে সাড়ে ছয় কোটি টাকার পোস্টার, প্লাকার্ড ও ফেস্টুন লাগিয়েছেন বুলবুল।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ইয়াবা গডফাদারদের অবৈধ টাকা দিয়ে তার নির্বাচনী প্রচার চালানো হচ্ছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আওয়ামী লীগ প্রার্থী লিটনের সততার জন্য তাকে নিরাপদ মনে করছেন না। কিন্তু গডফাদাররা বিএনপি প্রার্থী বুলবুলের অবৈধ সম্পদের পাহাড় দেখে তার প্রচারণায় অর্থ ব্যয় করতে দ্বিধা করছে না।

সংখ্যালঘু পরিবার ও বস্তিবাসীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ এসেছে মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাধিক ভোটার জানান, বুলবুলকে ভোট না দিলে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পঞ্চবটি বস্তিবাসী ও সংখ্যালঘু ভোটারদের উচ্ছেদ করা হবে বলে বিএনপির কর্মীরা ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ প্রার্থী লিটনের চরিত্র হনন করে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী বুলবুল। বস্তিবাসীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে লাল খামে করে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে বিএনপি কর্মীরা।

এ প্রসঙ্গে রাজশাহীর সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী লিটনের প্রতি জনগণের যে পজিটিভ ইমেজ আছে তাতে অপপ্রচার না চালিয়ে, অবৈধভাবে টাকা না দিয়ে বিএনপির উপায় নেই। তাই বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের কর্মীরা বুধবার সকালে পঞ্চবটি বস্তি এলাকায় গণসংযোগ করার সময় মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নামে।

সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে তার পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাসিক কর্মচারীরা।

এদিকে নিজে মনোনয়ন না নিয়ে রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে গোপনে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। তিনি বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় বিপুল অবৈধ টাকার উৎস সম্পর্কে ইয়াবা গডফাদারদের যোগসাজশের তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে জানিয়ে দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।



ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top