কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে ফারজানা আকতার নামে একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে টঙ্গীর বড়বাড়ি এলাকায় । শনিবার বেলা দেড়টার দিকে টঙ্গীর বড়বাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
তবে এই ঘটনাকে ভিন্ন দিকে নেয়ার জন্য দুর্ঘটনায় পিষ্ট মৃত শিক্ষার্থী ফারজানা আকতারের লাশের ছবি দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটিকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর পিটিয়ে হত্যার দৃশ্য হিসেবে ভাইরাল করা হয়েছে।
তবে এই ঘটনাকে ভিন্ন দিকে নেয়ার জন্য দুর্ঘটনায় পিষ্ট মৃত শিক্ষার্থী ফারজানা আকতারের লাশের ছবি দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটিকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর পিটিয়ে হত্যার দৃশ্য হিসেবে ভাইরাল করা হয়েছে।
সূত্র বলছে, শিক্ষার্থী ফারজানা আকতার কলেজ থেকে বাসায় আসার সময় টঙ্গীর বড়বাড়ি এলাকায় ফ্লাইওভার থাকা সত্ত্বেও চার লেনের হাইওয়ে রোড দিয়ে পার হতে গিয়েছিলেন। মোবাইলে গেম খেলতে খেলতে আকস্মিক রাস্তা পারাপারের ঘটনার সময় ফারজানা ট্রাকের নিচে পিষ্ট হন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর ফারজানার এই রক্তাক্ত লাশের ছবিকে ছাত্রলীগের আক্রমণের ঘটনা হিসেবে দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, এই মৃত ফারজানার লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের হামলায় ঘটেছে বলে প্রচার করছে ছাত্রশিবির নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন ফেসবুক পেইজগুলো। তারা ফেসবুকের মাধ্যমে ওই মেয়ের মৃতদেহটিকে ধর্ষণের পর পিটিয়ে হত্যার দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করছে। এছাড়াও ফারজানার মৃতদেহটি নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেপানোর চেষ্টা করছে একটি মহল।
এদিকে জানা যায়, নিহত শিক্ষার্থী টঙ্গীর শফিউদ্দিন সরকার অ্যাকাডেমি অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক ওহিদুজ্জামান এই ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্ত না হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গুজবে উত্তেজিত না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র বলছে, মেয়েটির বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাহরপুর থানার কদুরিয়া এলাকায়। তার বাবার নাম ফারুক হোসেন। মেয়েটি কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় কাভার্ড ভ্যানটি তাকে চাপা দেয়। লাশ উদ্ধার করে পুলিশ মর্গে নিয়ে গেছে। অথচ মেয়েটির লাশ নিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের নোংরা রাজনীতি। এই লাশের রাজনীতি করে ছাত্র আন্দোলনে ভর করে ক্ষমতায় যাবার জন্য বিএনপি এমন করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, ফারজানাকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা কাভার্ড ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেন।পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান। তবে ফারজানার ছবি নিয়ে এমন মিথ্যাচার খুব দুঃখজনক বলেও মনে করেন সাধারণ জনগণ।