বিমসটেকে এ প্রশংসিত হলো বাংলাদেশ

S M Ashraful Azom
বিমসটেকে এ প্রশংসিত হলো বাংলাদেশ

সেবা ডেস্ক: নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী কয়েকটি দেশের জোটই হলো এই বিমসটেক। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘শান্তির, সমৃদ্ধির, টেকসই বে অব বেঙ্গলের লক্ষ্যে’। 

১৯৯৭ সাল থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে বিমসটেক। নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয় বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ভূটানের রাষ্ট্র প্রধানগণ। বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার নেপালে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। পর দিন যোগ দেন রিট্রিট সেশনে।

বিমসটেকে সব ক্ষেত্রে প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ। গত ১০ বছরে আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতার মাধ্যমে। বিমসটেকের সার্বিক তথ্যের জন্য ঢাকায় ফিরে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমসটেক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সামষ্টিক উন্নয়নের জন্য মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সহায়তা, পুঁজি বিনিয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। শুধু তাই নয় প্রক্রিয়া জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল আইনি কাঠামো ও অন্যান্য আইনি দলিল দ্রুত সম্পন্ন করার উপর জোর দেন। বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর বিদ্যুৎ গ্রিডের মধ্যে আন্তঃসংযোগ চালুর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন যে, এ চুক্তির মাধ্যমে বিমসটেক অঞ্চলে বিদ্যুৎ চলাচলের ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও বাংলাদেশের রপ্তানির ব্যাপারে নেপাল আগ্রহের কথা জানান। নেপালের সঙ্গে সম্প্রতি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও বাংলাদেশে আমদানি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী ভূটানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দাশো শেরিং ওয়াংচুকের এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন। আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যে কোনো দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্য আদর্শ হতে পারে। তিনি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সম্মেলনে সব দেশের প্রধানগণ বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বাংলাদেশের দ্রুত অবকাঠামো উন্নয়ন, দেশে নারী শিক্ষা ও নারী কর্মসংস্থান অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে। তাঁরা আরো বলেন এই দেশ অচিরেই উন্নত বিশ্বের দেশের তালিকায় নাম লিখাবে। শুধু তাই নয় দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়েও প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে দেশ। আর এর প্রধান কান্ডারি হচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের এই উন্নতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট সকলে।
 -

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top