রকি চন্দ্র সাহা: ১৭ই অক্টোবর শারদীয় দূর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন। দেবীর সন্ধ্যাপূজা আর কুমারী পূজার মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
কুমারী বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রূপ চিন্তা করে তাকে দেবী মনে পূজা করেছেন ভক্তরা। তিথি অনুসারে সকাল সাড়ে ১১ টায় শ্রী শ্রী সার্ব্বজনীন মেহের কালী বাড়ীতে হরিসভা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহা অষ্টমি পূজা।
সব নারীতে মাতৃরূপে উপলদ্বি করাই কুমারী পূজার প্রধান লক্ষ্য। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত ১ থেকে ১৩ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা অবিবাহিত কন্যা অথবা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কন্যাকে ও পূজা করার বিধান রয়েছে। বয়সভেদে কুমারীর নাম হয় ভিন্ন। শাস্ত্রমতে এক বছর বয়সে সন্ধ্যা, দুইয়ে সরস্বতী, ছয়ে উমা, সাতে মালিনী, আটে কুঞ্জিকা, নয়ে অপরাজিতা, দশে কালসর্ন্ধতা, এগারোয় রুদ্রানী, বারোয় ক্ষেত্রঙ্গ এবং ষোল বছরে আম্বিকা বলা হয়ে থাকে। এদিন নির্বাচিত কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে ঘাটে বসানো হয়েছে। পূজা অর্চনা ও দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি দানের মধ্য দিয়ে শারদীয় দূর্গোৎসবের মহাসপ্তমী পালিত হয়েছে।
বাঙ্গালী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী সর্ববৃহৎ এ ত্রিনয়ণী দেবী দূর্গার পিতৃগৃহে আগমন ও বিদায় উপলক্ষে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় এবার ১৫ টি পূজা মন্ডপে পূজা চলছে। সকাল থেকে চন্ডীপাঠে মুখরিত ছিলো সব পূজামন্ডপ। মন্ডপে মন্ডপে চলছে উলুধ্বনি, শঙ্খ ধ্বনি, ধূপের আরতি আর নানা ব্যঞ্জনার উপকরণ সজ্জা, দঢাকঢোল আর কাঁসরঘন্টার শব্দে মুখরিত চারদিক।
এই পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতির পাশাপাশি নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপওা ব্যবস্থা। নানা আচার - অনুষ্ঠান শেষে ভক্তরা প্রথম দফায় দূর্গতিনাশিনী দেবী দূৃর্গার পায়ে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন। এর আগে ত্রিনয়ণী দেবী দূর্গা তৃতীয় চক্ষুদান করা হয়।
পূজা অঞ্জলি শেষে আয়োজন ছিল প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ আরতি। এ বছর চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় ১৫ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে শাহরাস্তি পৌরসভায় ৬ টি পূজামন্ডব, শাহরাস্তির বিভিন্ন ইউনিয়নে ৯টি পূজা মন্ডবে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
⇘সংবাদদাতা: রকি চন্দ্র সাহা
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।